ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২ ১৪৩১

সীমান্ত পেরোতে গেলেই হতে হয় ধর্ষণের শিকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১১, ১০ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ২২:৫৯, ১০ আগস্ট ২০২৪
সীমান্ত পেরোতে গেলেই হতে হয় ধর্ষণের শিকার

জুনের প্রথম শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার মাত্র কয়েক মিনিট আগে যখন কানি (নামের শেষাংশ) এবং অন্য ১০ জন উত্তর-পূর্ব মালিতে সহিংসতা থেকে পালিয়ে এসে নাইজারের সীমান্তের কাছে লাবেজাঙ্গার একটি চেকপয়েন্টে পৌঁছেছিল। তাদেরকে থামিয়ে দেয় ছয়জন সশস্ত্র লোক, যাদের মধ্যে তিনজন ছিল সামরিক পোশাক পরিহিত।

১৭ বছরের কানি বলেন, ‘তারা (বন্দুকধারীরা) পুরুষদেরকে মহিলাদের থেকে আলাদা করেছে। তারপর তাদের মধ্যে তিনজনই চারটি মেয়েকে একটি ছোট তাঁবুতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তারা বন্দুকের মুখে আমাদের পালাক্রমে ধর্ষণ করে।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাইজার সীমান্তবর্তী শহর আয়ুরুতে মালির বহু শরণার্থী বসতি স্থাপন করেছে। নাইজারে প্রবেশ করার পর থেকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কানি সেখানে বসবাস করছে।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও তরুণীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ভ্রমণের পরে তারা ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত ছিল। ধর্ষকদের কাছে তারা কাতর অনুনয়-বিনয় করেছিল। কিন্তু তাদের মন গলেনি।

নাইজার সীমান্তে মালির সেনাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগ নতুন নয়।

২০২৩ সালের মার্চ মাসে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক প্রতিবেদনে জানায়, মালির উত্তরে অবস্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দেশের উত্তর-পূর্বের গ্রামে ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ এবং লুটপাট চালাচ্ছে। যোদ্ধারা রাস্তায় মেয়েদের ওপর হামলা চালায়, সবকিছু পুড়িয়ে দেয়।

কানি বলেন, ‘তারা (যোদ্ধারা) খুব গভীর রাতে আমাদের আঙ্গিনায় এসেছিল এবং সেখানে প্রায় প্রতিটি মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল।’

আল-জাজিরার পক্ষ থেকে সেনাদের বিষয়ে জানতে মালির সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/শাহেদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়