পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট

পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফ। গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্য এক্সে তিনি তার পদত্যাগপত্রটি পোস্ট করেছেন। জাভেদ জারিফের নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। খবর আল জাজিরার।
পদত্যাগপত্রে জারিফ লেখেন, জাতীয় স্বার্থ এগিয়ে নিতে ছোটখাটো ভূমিকা রাখায় গত চার দশকে আমি অসংখ্য অপমান ও অভিযোগ সহ্য করেছি। আমার ছোটখাটো অবদানের মধ্যে আরোপিত যুদ্ধের অবসান থেকে শুরু করে সফল পরমাণু চুক্তির কথা উল্লেখ করা যায়। বিরামহীন মিথ্যা ও বক্তব্য বিকৃতির মুখেও দেশের স্বার্থে আমি এত দিন চুপ ছিলাম।
জারিফ জানান, বিচার বিভাগীয় প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি এজেই তাকে পদত্যাগ করতে ‘উপদেশ’ দিয়েছেন। দেশের চলমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে ‘সরকারের ওপর আরো চাপ তৈরি করা থেকে বিরত থাকতে’ তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় ফিরে যাওয়ার উপদেশ দেন বিভাগীয় প্রধান গোলাম হোসেন।
ইরানের সাবেক শীর্ষ এই কূটনীতিক লেখেন, আশা করছি, আমার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের ইচ্ছা ও সরকারের সফলতার পথে বাধা দূর হবে।
জাভেদ জারিফ সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত। নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি মাসুদ পেজেশকিয়ানের পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন। পরে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান তাকে সরকারের কৌশলগত পরামর্শদাতা হিসেবে বেছে নেন।
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির আমলে আট বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন জাভেদ জারিফ। তিনি ২০১৫ সালে পশ্চিমাদের সঙ্গে করা ইরানের পরমাণু চুক্তিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছিলেন।
তবে নিজের রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ ৪০ বছরের মধ্যে গত ছায় মাস ‘সবচেয়ে তিক্ত’ ছিল বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন জাভেদ জারিফ।
ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে সমালোচকেরা তার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করতে শুরু করে। সমালোচকদের অভিযোগ, জাভেদ জারিফকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেওয়ায় সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। কারণ, তার সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে। পেজেশকিয়ানের মন্ত্রিসভা থেকে রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরা তাকে অপসারণ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
ঢাকা/ফিরোজ