ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে হোয়াইট হাউস কী ভাবছে?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন, তিনি চিরস্থায়ী যুদ্ধগুলো বন্ধ করতে চান।
ইসরায়েল ও ইরানের হামলা- পাল্টা হামলা নিয়ে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে, যাতে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। এমন অবস্থায় হোয়াইট হাউস আসলে কী চাইছে, তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে বিশ্বের মানুষের।
এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, তিনি কম হস্তক্ষেপমূলক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করবেন।
ট্রাম্প বারবার বলেছেন, তিনি ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধগুলোর’ ইতি টানতে চান এবং তার সমর্থকরাও তাই চায়। তবে সমস্যা হলো, ট্রাম্প একজন রিপাবলিকান, যে দলটি ঐতিহাসিকভাবে (বিশেষ করে বয়স্ক প্রজন্মের মধ্যে) অনেকটাই আগ্রাসী মনোভাবের। রিপাবলিকান পার্টির একটি অংশ আছে, যাদের নিওকনজারভেটিভ বা নিওকন বলা হয়, যারা বরাবরই আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের পক্ষে। ফলে প্রেসিডেন্ট এখন তার দলেই এক ধরনের বিভাজনের মুখোমুখি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে এবং ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলকে অনুরোধ করেছিলেন যেন তারা ইরানের ওপর হামলা না চালায়, অন্তত ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার সম্ভাব্য আলোচনা চালু থাকে। কিন্তু ট্রাম্প যে ৬০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছিলেন আলোচনার জন্য, তার এক দিন পর অর্থাৎ ৬১তম দিনেই ইসরায়েল ইরানের মাটিতে হামলা চালায়।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কূটনৈতিক সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা যেকোনো সময় ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
তবে সমস্যাটা হলো, এই মুহূর্তে ইরান আলোচনার জন্য রাজি নয়। আর এখানেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য মূল জটিলতা। তিনি কূটনীতির যে পথ খুঁজছেন, বাস্তবে সেই পথ আপাতত বন্ধ।
পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় সমাধানের পথের কথা বললেও ইরানের হামলার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগে থেকেই জানতেন বলে নিজেই স্বীকার করেছেন। ফলে ট্রাম্পের এই দ্বিচারিতা পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলেছে। এই অবস্থায় হোয়াইট হাউসের সিদ্ধান্ত কী হয়, তার ওপর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
ঢাকা/রাসেল