ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বেলজিয়াম
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে বেলজিয়াম। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এ ঘোষণা দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভোট।
প্রেভোট জানিয়েছেন, তার দেশ চলতি মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে প্রেভোট বলেন, “ফিলিস্তিনে, বিশেষ করে গাজায়, মানবিক ট্র্যাজেডির আলোকে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের সংঘটিত সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায়” এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গণহত্যা, জাতিগত নির্মূল, যুদ্ধাপরাধ এবং গাজার বেসামরিক জনগণের উপর সম্মিলিত শাস্তির বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় গাজার বিশাল অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে, ৬৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং জাতিসংঘ-সমর্থিত ক্ষুধা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) গত মাসে গাজা সিটি এবং এর আশেপাশে ‘মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ’ বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে। ব্যাপক দুর্ভিক্ষ সত্ত্বেও ইসরায়েল এখনো এই অঞ্চলে সাহায্য পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে।
বেলজিয়াম সরকারের নতুন অবস্থান বর্ণনা করে এক্স-এ একটি দীর্ঘ পোস্টে প্রেভোট লিখেছেন, “ফিলিস্তিনে, বিশেষ করে গাজায় মানবিক ট্র্যাজেডির আলোকে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের সংঘটিত সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায়, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায়, গণহত্যার ঝুঁকি প্রতিরোধ করার দায়িত্বসহ আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার পরিপ্রেক্ষিতে, বেলজিয়ামকে ইসরায়েলি সরকার এবং হামাস সন্ত্রাসীদের উপর চাপ বৃদ্ধির জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এটি ইসরায়েলি জনগণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে নয় বরং তাদের সরকার আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনকে সম্মান করে এবং বাস্তব পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে নিশ্চিত করা।”
ঢাকা/শাহেদ