ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রাশিয়া-ইউক্রেনের বাফার জোনে বাংলাদেশি ও সৌদি সেনা মোতায়েনের চিন্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১১:৪১, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাশিয়া-ইউক্রেনের বাফার জোনে বাংলাদেশি ও সৌদি সেনা মোতায়েনের চিন্তা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কোনো শান্তিচুক্তি হলে উভয় দেশের মধ্যে যে বাফার জোন (নিরাপত্তা অঞ্চল) হবে, তা পর্যবেক্ষণে নেতৃত্ব দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। ওই নিরাপত্তা অঞ্চল রক্ষায় সৌদি আরব কিংবা বাংলাদেশের মতো এক বা একাধিক ন্যাটো-বহির্ভূত দেশ থেকে সেনা সদস্য নেওয়া হতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।    

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এমন চারজনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ভবিষ্যত আক্রমণ থেকে ইউক্রেনকে রক্ষার জন্য পরিকল্পনা করা বাফার জোনটি একটি বৃহৎ সামরিক নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল হবে। এটি সৌদি আরব কিংবা বাংলাদেশের মতো এক বা একাধিক ন্যাটো বহির্ভূত দেশের সৈন্য দ্বারা সুরক্ষিত হতে পারে।

আরো পড়ুন:

এনবিসি নিউজ আরো জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছেন, কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরাসরি বৈঠকের সম্ভাবনাও খুব একটা নেই বলে মনে করছেন তিনি।

গত মাসে আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের বহুল আলোচিত এক শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়ার শর্তগুলো শিথিল করার মতো পরিস্থিতি দেখা যায়নি। এখন পর্যন্ত এমন বৈঠকের জন্যও মস্কোর পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

এনবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা সামনে আসলেও তা বাস্তবায়নে বড় বাধা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ন্যাটো জড়িত থাকা কিংবা ন্যাটোর কোনো ছাপ থাকাই তার জন্য সংবেদনশীল বিষয়। এ কারণে পরিকল্পনাকারীরা বিশেষভাবে সতর্ক, যাতে এতে ন্যাটো সেনা বা ন্যাটোর কোনো প্রতীকী উপস্থিতি না থাকে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ন্যাটোর ধারা ৫-এর (একজন সদস্যের ওপর আক্রমণ মানেই সবার ওপর আক্রমণ) বাইরে গিয়েই দেওয়া হবে। এর পরিবর্তে ন্যাটো-বহির্ভূত দেশের সেনা এবং ইউক্রেন ও তার মিত্রদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নেতাদের সম্মতি প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা সেনা পাঠাবে না। তবে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ নেতারা চাইছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়ে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে। এই উদ্যোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও পাশে চাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।

ঢাকা/ফিরোজ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়