ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মুসা নবীর সেই পাহাড়ে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করছে মিশর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২১, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৭:৩৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুসা নবীর সেই পাহাড়ে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করছে মিশর

বছরের পর বছর ধরে, দর্শনার্থীরা সিনাই পর্বতে বেদুইন গাইডের সাথে উঠে যেতেন নির্মল, পাথুরে ভূদৃশ্যের উপর দিয়ে সূর্যোদয় দেখার জন্য। এই সিনাই পর্বত মিশরের সবচেয়ে পবিত্র স্থানগুলোর মধ্যে একটি - ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের কাছেও সম্মানিত। এটিকে একটি নতুন পর্যটন মেগা-প্রকল্পে রূপান্তরের পরিকল্পনা করছে মিশর।

স্থানীয়ভাবে জাবাল-এ- মুসা নামে পরিচিত সিনাই পর্বত হল সেই স্থান যেখানে নবী মুসাকে ১০টি আদেশ দিয়েছিলেন স্রষ্টা। অনেকে বিশ্বাস করেন,বাইবেল ও কুরআন অনুসারে, স্রষ্টা এই পর্বতেই নবীর সাথে কথা বলেছিলেন।

গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ পরিচালিত ষষ্ঠ শতাব্দির সেন্ট ক্যাথেরিন মঠটিও এখানে রয়েছে। দীর্ঘ-বিচ্ছিন্ন, মরুভূমির অবস্থান - মঠ, শহর এবং পর্বত নিয়ে গঠিত এলাকাটিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষনা করেছিল। এই স্থানটি কীভাবে রূপান্তরিত হচ্ছে তা নিয়ে এখনো গভীর উদ্বেগ রয়েছে। সেখানে বিলাসবহুল হোটেল, ভিলা এবং শপিং বাজার নির্মাণাধীন।

মিশর ২০২১ সালে পর্যটকদের জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ‘গ্রেট ট্রান্সফিগারেশন’ প্রকল্প শুরু করে। এই পরিকল্পনায় হোটেল, ইকো-লজ এবং একটি বৃহৎ দর্শনার্থী কেন্দ্র খোলার পাশাপাশি মাউন্ট মোজেসের কাছে ছোট বিমানবন্দর ও একটি কেবল কার সম্প্রসারণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সরকার এই উন্নয়নকে ‘সমগ্র বিশ্ব এবং সকল ধর্মের জন্য মিশরের উপহার’ হিসেবে প্রচার করছে।

মিশরের গৃহায়নমন্ত্রী শেরিফ এল-শেরবিনি গত বছর বলেছিলেন, “এই প্রকল্পটি দর্শনার্থীদের জন্য সমস্ত পর্যটন ও বিনোদনমূলক পরিষেবা প্রদান করবে, (সেন্ট ক্যাথেরিন) শহর এবং এর আশেপাশের এলাকার উন্নয়নকে উৎসাহিত করবে, একই সাথে পরিবেশগত, দৃশ্যমান ও ঐতিহ্যবাহী প্রকৃতি সংরক্ষণ করবে এবং সেন্ট ক্যাথেরিন প্রকল্পে কাজ করা ব্যক্তিদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করবে।”

অবশ্য তহবিল সমস্যার কারণে কাজ আপাতত স্থগিত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

বলা হয় যে, সিনাই পর্বতে মুসা নবীর সময় তার জন্য ইসরায়েলিরা সিনাই পর্বতে অপেক্ষা করেছিল। আর সমালোচকরা বলছেন যে, মিশরের পর্যটন উদ্যোগের ফলে এই এলাকার বিশেষ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

২০২৩ সালে ইউনেস্কো তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং মিশরকে উন্নয়ন বন্ধ করার, এর প্রভাব পরীক্ষা করার এবং সংরক্ষণ পরিকল্পনা তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছিল।
 

ঢাকা/শাহেদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়