নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নির্বাচনে বিক্ষোভকারীদের মধ্যেই মতবিরোধ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কে হবেন তা নির্ধারণ করতে জেন-জি বিক্ষোভকারী, সেনাবাহিনী এবং প্রেসিডেন্টের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে কারো নাম প্রকাশ করা হয়নি। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সরকার প্রধান নির্ধারণ নিয়ে খোদ জেন-জি বিক্ষোভকারীদের মধ্যেই মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জেন-জি বিক্ষোভকারী দলটি জানিয়েছে, তাদের নিজেদের মধ্যে ছয় ঘন্টাব্যাপী ভার্চুয়াল বৈঠকে দুটি নাম উঠে এসেছিল। এদের মধ্যে এক জন হচ্ছেন- কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র বালেন শাহ এবং নেপালের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি।
এনডিটিভি অনলাইন জানিয়েছে, তরুণ নেপালিদের কাছে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহ অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শুধু এক জনের নামই অবশিষ্ট ছিল- সাবেক প্রধান বিচারপতি কার্কি। তবে, এখন দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একটি অংশ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের যুক্তি হচ্ছে, সংবিধান সাবেক বিচারকদের প্রধানমন্ত্রী হতে নিষেধ করে এবং কার্কি ৭৩ বছর বয়সে তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ‘অত্যধিক বয়স্ক।’
এরপরেই আলোচনায় উঠে আসেন নেপালের বিদ্যুৎ সংকট সমাধানকারী প্রকৌশলী কুল মান ঘিসিং। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘিসিংকে বিক্ষোভকারীদের একাংশ ‘দেশপ্রেমিক এবং সবার প্রিয়’ বলে অভিহিত করেছেন। বিষয়টি নেপালের অনেককেই অবাক করেছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, বোঝা যাচ্ছে, সরকার প্রধান নির্বাচন নিয়ে খোদ জেন-জি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিভেদ বা দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
এনডিটিভি আরো জানিয়েছে, জেন-জি বিক্ষোভকারীদের প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামো অস্পষ্ট। নেপালের ২০১৫ সালের সংবিধান অনুসারে, সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থেকে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে হবে। যদি কেউ না থাকে, তাহলে রাষ্ট্রপতি একজন উত্তরসূরি নিয়োগ করেন, অথবা যেকোনো সংসদ সদস্য আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে পারেন। যদি তারা ভোটে ব্যর্থ হন, তাহলে সংসদ ভেঙে দেওয়া হতে পারে এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, জেন-জি বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বিক্ষোভকারীরা দেশটির পার্লামেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে। বুধবার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে সেনাবাহিনী।
ঢাকা/শাহেদ