ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

৫ লাখ হিন্দু সাধু-সন্ন্যাসী নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাওয়ের হুমকি শুভেন্দুর

কলকাতা ব্যুরো || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৯:৪৮, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
৫ লাখ হিন্দু সাধু-সন্ন্যাসী নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাওয়ের হুমকি শুভেন্দুর

এবার ৫ লাখ হিন্দু সাধু-সন্ন্যাসী নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আগে তিনি এ হুমকি দিয়েছেন।

শুক্রবার স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বিজেপি ও সাধু সন্ন্যাসীদের একটি প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, “খালা মমতা যতই প্রাচীর করে, পুলিশ দিয়ে রাখুক, সরকারের তরফে যদি ব্যবস্থা না নেয়, তবে নতুন বছরের আগেই সব তুলে ফেলে দেব। গঙ্গাসাগর মেলায় পাঁচ লাখ সাধু যাবেন, সেখানে পূণ্যস্নান করার পর আমি তাদেরকে পথ দেখিয়ে মিশনের সামনে নিয়ে আসব। কলকাতা পুলিশের কত ক্ষমতা আছে ওই দিন দেখা যাবে। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর দাবি, আমার সাথে উপস্থিত সাধু সন্ন্যাসীরা প্রশ্ন তুলেছেন এই জিনিস বন্ধ না হলে আমরা রিয়্যাক্ট করব।”

আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি গঙ্গাসাগরের মেলা আয়োজন করবে ভারত। যেখানে যোগ দেবে লাখ লাখ হিন্দু সাধুসন্তরা। 

শুভেন্দু বলেন, “আজকে এক হাজার সাধু এসেছেন তিন হাজার নাগা সন্ন্যাসী এসেছেন। গঙ্গাসাগরে পাঁচ লাখ সাধু যাবেন। গঙ্গাসাগরের স্নান করে ফেরার পরে আমি সব সাধুকে বাবুঘাট থেকে পথ দেখিয়ে এখানে নিয়ে আসব। কত ক্ষমতা আছে (পুলিশ কমিশনার) মনোজ বার্মার ওই দিন দেখা হবে।”

একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির আসার দিন নতুন প্রজন্ম যেভাবে তাদের শক্তি দেখেছে আমরাও সেই শক্তি দেখিয়ে দেব।”

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “গাজাতে ইহুদীদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ইসরায়েল লড়াই করছে। এক্ষেত্রে ইরানসহ মুসলিম দেশগুলো ফিলিস্তিনিকে সাহায্য করছে কেবলমাত্র ধর্মীয় কারণে, কারণ ফিলিস্তিন একটা মুসলিম রাষ্ট্র।” 

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে থাকতে দিয়েছিলেন, কারণ তারা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। আর তাই বাংলাদেশ যে হিন্দুরা রয়েছে তারা মার খাবে, পুড়িয়ে দেবে তাদের উপর নির্যাতন হবে, এটা ভারতের ১০০ কোটি হিন্দু বসে বসে দেখবে এই জিনিস হতে পারে না।”

তার দাবি, “সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় স্লোগান তুলে বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করার জন্য দিপু চন্দ্র দাসকে মারা হয়েছে এবং পুলিশের হেফাজত থেকে মবের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা জানতে চেয়েছিলাম দিপুর অপরাধ টা কি! তারা কিছু দেখাতে পারেনি।”

উপ-দূতাবাসে তরফ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, ওই ঘটনা গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জনের বিচার না হওয়া তারা পর্যন্ত জামিন পাবে না। 

শুক্রবার দুপুরে হিন্দু সংহতি মঞ্চ নামে অন্য একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কয়েক শতাধিক সদস্য শিয়ালদা স্টেশন থেকে একটি মিছিল করে এসে মিশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মিশনের প্রায় ২০০ মিটার আগে তাদের গতিপথ আটকে দেয় পুলিশ। এরপর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় তারা। একসময়  তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল সেখানে স্মারকলিপি জমা দেয়। 

এদিন বাংলাদেশ দূতাবাসের বাইরে রীতিমত নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। বড় বড় লোহার ব্যারিকেড, লোহার খাঁচা, জল কামান, লাঠিধারী পুলিশ, প্রিজন ভ্যান, টিয়ার গ্যাসের শেল ও বক্স হাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য।
 

সুচরিতা/শাহেদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়