কোরবানির ঈদে ডিএমপির যত নির্দেশনা
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি। কোরবানির পশুর হাট, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলস্টেশন কেন্দ্রিক নিরাপত্তায় নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এজন্য সংস্থাটি ২০ টি নির্দেশনাও দিয়েছে ইজারাদার, পাইকার এবং আগত ক্রেতাদের জন্য।
শনিবার (২৫ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া শাখার প্রধান উপ-কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন বলেন, করোনার কারণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাটের নিরাপত্তার সঙ্গে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাটের জন্য স্বাস্থ্যবিধি, কাঁচা চামড়া পাচার রোধ ও কেনাবেচার সময় সচেনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে- নির্ধারিত তারিখের আগে হাটে পশু না আনা, চৌহদ্দি বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখা, চৌহদ্দির বাইরে হাট না বসানো, পশু বহনকারী ট্রাকের সামনে হাটের নাম ব্যানারে লিখে রাখা, এক হাটের পশু অন্য হাটে না নামানো, নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত হাসিল আদায় না করা। পশুর হাটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা। সার্বক্ষণিক মেডিক্যাল টিম ও ভেটেরিনারি অফিসার (পশুর ডাক্তার) নিয়োজিত করা। হাট এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। পশুর হাটকেন্দ্রিক নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা এবং ফায়ার টেন্ডার মোতায়েন রাখা। প্রতিটি পশুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে। প্রতিটি পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করতে হবে। মানি এসকর্ট ব্যবস্থা ও জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন বসাতে হবে। পশুর হাটের চৌহদ্দির বাইরে হাট বসতে দেওয়া হবে না। বলপূর্বক পশুবাহী ট্রাক/ নৌকা আটকে অন্য হাটে নামানো যাবে না। জাল টাকার বিস্তার রোধ ও পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, পকেটমার ও অন্য অপরাধীদের তৎপরতা বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা। জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপন করতে হবে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনভিত্তিক বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে পশু বিক্রির জন্য উৎসাহিত করা।
মাকসুদ/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন