ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

৫ কোটি টাকার উৎস দেখাতে না পারায় প্রকৌশলীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৭, ৫ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
৫ কোটি টাকার উৎস দেখাতে না পারায় প্রকৌশলীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

দুর্নীতি দমন কমিশনের লোগো

গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে’র স্ত্রী গোপা দে’র নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাঁচ কোটি টাকার বেশি জমা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

যা বিভিন্ন সময় উৎপল কুমার দে সরকারি-বেসরকারি ৮টি ব্যাংকের মাধ্যমে স্ত্রীর নামে জমা করেছেন। যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি উৎপল দম্পতি। যদিও আইনি বৈধতা পাওয়ার জন্য স্ত্রীর নামে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা দেখানোর চেষ্টা করেছেন।  তবে শেষ রক্ষা হয়নি।

যে কারণে গোপা দে’র বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বুধবার (০৫ আগস্ট) দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে স্বামী উৎপলকেও। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, গোপা দে’র নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৫ কোটি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৯ টাকার অস্থাবর সম্পদ গচ্ছিত পাওয়া গেছে।  কিন্তু সম্পদের তথ্য মিসেস গোপা দে’র আয়কর নথিতে প্রদর্শন না করে গোপন করেছেন।  অনুসন্ধানে ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।  এছাড়া ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর নথিতে প্রদর্শিত নিট ১ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার ২০৫ টাকার যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় তার সমর্থনে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি।  যদিও গোপা দে’র আয়কর নথিতে তার নামে পটিয়া ইলেকট্রনিক্সের নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়েছেন।  যার কোনো বাস্তব অস্তিত্ব মেলেনি। 

সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এ বিষয়ে বলেন, অবৈধ সম্পদের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে ও তার স্ত্রী গোপা দে’র বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা রুজু হয়েছে আজ।  একটি মামলায় শুধু উৎপল কুমার দে আসামি এবং অপর মামলায় তার স্ত্রী গোপা দে ও উৎপলকে আসামি করা হয়েছে।  মামলায় দুইজনের বিরুদ্ধে মোট ৭ কোটি ৮০ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫৭ টাকা জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে উৎপলের বিরুদ্ধে ১ কোটি ১৮ লাখ ১৭ হাজার ৯০৩ টাকা অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে। 

ক্যাসিনো কাণ্ড ও জি কে শামীম সংশ্লিষ্টতায় অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় গত ২৮ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলাগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। 

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।  শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২০টি মামলা দায়ের করে দুদক।  প্রায় ২০০ জনের তালিকা নিয়ে চলছে দুদকের অনুসন্ধান।  দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে সাত সদস্যের টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

 ঢাকা/এম এ রহমান/জেডআর

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়