সাড়ে ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, মামলা হচ্ছে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে
এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সাময়িক বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকীর নামে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই সম্পদ অর্জনের বৈধ উৎস দেখাতে না পারায় প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদক মামলা করতে যাচ্ছে।
প্রদীপ দম্পতির জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদের মধ্যে রয়েছে—তার নিজের ও স্ত্রীর নামে কক্সবাজার শহরে ৪ শতাংশ জমি, ৬ তলা ভবন, ফ্ল্যাট ও দুটি হোটেলের মালিকানা।
এই প্রসঙ্গে দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানের সময় দুদকের সম্পদের হিসাব জমা দেন তারা। সেখানে প্রদীপের সম্পদের ঘোষণা ছিল ৭০ লাখ টাকার কিছু বেশি। তবে চুমকীর নামেই অনেক বেশি সম্পদের ঘোষণা দেন প্রদীপ দম্পতি। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে চুমকীর নামে সাড়ে ৪ কোটি টাকার সম্পদের ঘোষণা রয়েছে। নথিপত্রে তাকে মৎস্য ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।’
দুদকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দুদকের অনুসন্ধানে এর বাইরে আরও ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। যে অভিযোগে আসামি হতে যাচ্ছেন প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী।’
এ বিষয়ে দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অনুসন্ধান এখনো শেষ হয়নি। অনুসন্ধান শেষ না হলে বিস্তারিত বলা যাবে না।’
অন্যদিকে, এই বিষয়ে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহাড়ছড়া এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। এই ঘটনায় বুধবার (৫ আগস্ট) টেকনাফের ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন রহমান। এরপর ৭ আগস্ট ওসি প্রদীপসহ সাতজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এমএরহমান/এনই
রাইজিংবিডি
আরো পড়ুন