ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

অবৈধ সম্পদ: স্বাস্থ্যের ৪ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ১৩ অক্টোবর ২০২০  
অবৈধ সম্পদ: স্বাস্থ্যের ৪ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ

জাহাঙ্গীর হোসেন

দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ মালিক হওয়ার অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কমিশনের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের প্রধান মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। 

সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার মো. রুহুল আমিন, প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর হোসের হাওলাদার, অধিদপ্তরের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান ফকির ও আবু সোহেল দুদকের এই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের কাছে প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেন, তার কোনো অঢেল সম্পত্তি নেই। অন্য কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন কিনা তা তার জানা নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না আমার কোনো সম্পদের পাহাড় নেই। অন্যদের বেলায় কী আছে, কী নেই তা আমি জানি না। আমার যা বলার আমি এখানে (দুদক) বলে গেছি, আপনারা জেনে নেবেন।’

তবে অন্য ৩ জন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

এর আগে গত ৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর নোটিশ পাঠিয়ে ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেন অনুসন্ধান দলের প্রধান কর্মকর্তা সামছুল আলম। এতে ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

ওই নোটিশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজের ও স্ত্রীর নামে থাকা পাসপোর্ট, এনআইডি ও আয়কর রিটার্নের অনুলিপি সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়।

তলব করাদের মধ্যে বুধবার (১৪ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি ক্লিনিক শাখার সহকারী আনোয়ার হোসেন, উচ্চমান সহকারী মো. শাহানেওয়াজ ও শরিফুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী শরিফুল ইসলাম এবং অফিস সহকারী মো. হানিফকে এবং বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী মাসুদ করিম, মো. আলাউদ্দিন, মো. ইকবাল হোসেন এবং কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার মো. সাফায়েত হোসেন ফয়েজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করে বিদেশে অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।  

কমিশনের একটি দল ২০১৯ সাল থেকে স্বাস্থ্যখাতের প্রায় ৭৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছেন। তাদের কয়েক জনের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে মামলাও করেছে দুদক।

ঢাকা/এম এ রহমান/জেডআর

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়