এরফান ও জাহিদ ফের দুই দিনের রিমান্ডে
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর (বরখাস্ত হওয়া) এরফান সেলিম এবং তার বডিগার্ড জাহিদুল মোল্লার ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
তিন দিনের রিমান্ড শেষে এ দুই জনকে আদালতে হাজির করে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মবিনুল হক।
আসামিদের পক্ষে শ্রী প্রাণনাথ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আশরাফ এর বিরোধীতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলাটিতে গত ২৮ অক্টোবর এ দুই আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ২৭ অক্টোবর দিপুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরআগে ওইদিন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডিএমপির রমনা গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল টাঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গত ২৮ অক্টোবর মামলাটিতে হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিম এবং তার বডিগার্ড জাহিদুল মোল্লার তিন তিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
গত ২৬ অক্টোবর হাজী সেলিমের গাড়ি চালক মিজানুর রহমানের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২৮ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরফান সেলিমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এ বি সিদ্দিক দিপুকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে ফের দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
ঢাকা/মামুন/এসএম
আরো পড়ুন