এরফান সেলিমের অব্যাহতির শুনানি পেছালো

চকবাজার থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিমকে অব্যাহতির শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে এরফান সেলিমের অব্যাহতির শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন ইরফান সেলিমকে কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে হাজির করেনি। এজন্য আদালত শুনানির তারিখ পিছিয়ে এ দিন ধার্য করেন।

গত ৪ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এরফান সেলিমের অব্যাহতির সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

জানা গেছে, গত বছর ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
ওই দিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। এরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন।

এরপর ২৮ অক্টোবর র‌্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।