অজ্ঞাত লাশের নাম পরিচয় বের করলো পুলিশ
চার দিন ধরে হাসপাতাল মর্গে অজ্ঞাত হিসেবে পড়ে থাকা এক ব্যক্তির নাম পরিচয় নিশ্চিত করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। তার নাম আহসান হাবীব মন্টু (৪৫)। তিনি সাভার এলাকায় গার্মেন্টস ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, গত ৮ মে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের পৌরসভার হরিনাটি এলাকার ৩ তলা বাড়ির নিচতলার বাসায় মন্টুকে কে বা কারা আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাকে ফেলে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ওইদিনই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। রাতেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৪ দিন লাশটি হাসপাতাল মর্গে পড়েছিল অজ্ঞাত হিসেবে। এরপর নিহতের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ নাম-পরিচয় নিশ্চিত হতে তদন্ত শুরু করে। সেক্ষেত্রে তারা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই নাম পরিচয় নিশ্চিত হতে সক্ষম হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন অর রশিদ রাইজিংবিডিকে বলেন, লাশের মুখমণ্ডল ও শারীরিক গঠন দেখে মনে হয়েছে এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, ওই ব্যক্তি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন। এরপরই অজ্ঞাত লাশ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তের এক পর্যায়ে তার নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এরকম একজন ব্যক্তি বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে দাফন করা হবে তা কখনোই মন থেকে মেনে নিতে পারছিলাম না। নিজেকে কষ্ট দিচ্ছিল। লাশটি অন্ততপক্ষে স্বজনরা নিয়েও দাফনের ব্যবস্থা করতে পারেন সে চেষ্টা করেছিলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মে ওই ব্যক্তি সাভার থেকে নিখোঁজ হয়। তার স্বজনেরা পরদিন সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি নম্বর ৩৬৬। সাভারে থাকলেও তিনি কালিয়াকৈর ব্যবসায়িক কারণে চলতি মাসের ১ তারিখ বাসাটি ভাড়া নেয়। ঘটনার একদিন আগে ওই বাসায় তিনি খাট লেপ-তোষক নিয়ে রাখেন।
এদিকে নিহতের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই কালিয়াকুর থানা পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে। কে মন্টুকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়, ওই বাসায় তার সঙ্গে অংশীদার হিসেবে আর কে ছিলসহ নানা বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মাকসুদ/সাইফ
আরো পড়ুন