ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘লাশের দুর্গন্ধ এড়াতে সেপটিক ট্যাংক প্লাস্টার করেন সেই ইমাম’

নিজস্ব প্রতিবেদক  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৮, ২৬ মে ২০২১   আপডেট: ২০:১২, ২৬ মে ২০২১
‘লাশের দুর্গন্ধ এড়াতে সেপটিক ট্যাংক প্লাস্টার করেন সেই ইমাম’

আজহারুল ইসলামকে খুন করে লাশ ৬ টুকরো করে মসজিদের ওজুখানার গেট সংলগ্ন সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন ইমাম আব্দুর রহমান। কিছুদিন পর সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। তা দূর করার জন্য তিনি সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনার ওপর মসজিদের নির্মাণ কাজের জন্য রাখা সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে দেন। 

বুধবার (২৬ মে) দক্ষিণখানে আজহারুল হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আসমা আক্তার ও মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনুজ কুমার সরকার। রিমান্ড আবেদনে এই বর্ণনা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ইমাম আব্দুর রহমান আসমা আক্তারের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে ভিকটিম আজহার ইসলাম বিষয়টি জেনে যান। এ কারণে গত ২০ মে রাত ৯টার দিকে আজহারকে কৌশলে দক্ষিণখান থানাধীন সরদার বাড়ি সাকিনস্থ জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় শয়ন কক্ষে ডেকে নেন আব্দুর রহমান। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আজহারুল দরজার সামনে পড়ে যান। আব্দুর রহমান তখন আজহারুলের গলার ডানপাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরবর্তীতে এ ঘটনা ও আলামত গোপন করতে আজহারুলের লাশ ৬ টুকরো করেন আব্দুর রহমান। পরে মসজিদের ওজুখানার গেটসংলগ্ন সেপটিক ট্যাংকের ভেতর লাশের টুকরোগুলো লুকিয়ে রাখেন। অনুসন্ধানে আসামিরা র‌্যাবের কাছে পূর্ব পরিকল্পনায় ও পরস্পর যোগসাজসে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং আব্দুর রহমান সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আব্দুর রহমানের স্বীকারোক্তি ও তথ্যমতে র‌্যাব-১ এ টহল টিমের সহায়তায় দক্ষিণখান থানা পুলিশ ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায় ওই মসজিদের ওজুখানার সেফটি ট্যাংক থেকে আজহারুলের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আজহারুলের স্ত্রী আসমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন: দক্ষিণখানে ৬ টুকরা লাশ: নিহতের স্ত্রী গ্রেপ্তার

সেপটিক ট্যাংকে মিললো নিখোঁজ যুবকের মরদেহ

ঢাকা/মামুন/এমএম/ইভা

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়