ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ঢাকায় তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ২৩ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৫:২৭, ২৩ জুলাই ২০২১
ঢাকায় তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ঈদের পর কঠোর লকডাউনের প্রথমদিনে রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন না থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা দেখা গেছে। এদিকে, রাস্তায় চলাচলরত প্রত্যেকটি গাড়িকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন  আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর সদস্যরা। যারা বাইরে বের হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারছেন না, তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সঙ্গে জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর বেশির ভাগ প্রধান সড়ক ফাঁকা। অলিগলিতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চলাচল বেড়ে যায়। এদিকে তবে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত ছিল।  যার মুখে মাস্ক নেই তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ, কিংবা সতর্ক করে বাসায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। 

মুগদা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ( এসআই) মো. ফিরোজ রাইজিংবিডিকে বলেন, কঠোর লকডাউন নিশ্চিত করতে আমরা সকাল থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু তারপরও মানুষ নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। উপযুক্ত জবাব না পেলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।   গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকলে ট্রাফিক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। 

বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, এই এলাকায়  ঢাকায় প্রবেশের অন্যতম প্রবেশদ্বার।  কেননা বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন যাতায়াত করেন। লকডাউনে কেউ যেন বিনা প্রয়োজনে চলাচল করতে না পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

পুলিশের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, রাজধানীর ৮টি ক্রাইম জোনে শুক্রবার   সকাল থেকেই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমন্বয় করে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় উদ্বুদ্ধ করছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. ইফতেখারুজ্জামান রাইজিংবিডিকে বলেন, ভাইরাসটি যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছে, তাতে করে মানুষকে ঘরে রাখার কোনো বিকল্প নেই।  অনেক জায়গায় জনগণের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীও বিতরণ করা হচ্ছে। 

জানা গেছে, আমিন বাজার, আব্দুল্লাহপুর, যাত্রাবাড়ীসহ ঢাকায় প্রবেশের চারটি প্রধান প্রবেশদ্বারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব স্থান দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। 

উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চলছে।  আগের লকডাউনে গার্মেন্টস খোলা থাকলেও এবার সবকিছু বন্ধ। বন্ধ রয়েছে গার্মেন্টস, শিল্প কলকারখানাসহ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান।

/মাকসুদ/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়