ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

মাতাল নারীদের মারামারি: তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৪, ১৭ এপ্রিল ২০২৪  
মাতাল নারীদের মারামারি: তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি

রাজধানীর গুলশান-২-এর ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে মদ খেয়ে এক নারীকে মারধরের ঘটনায় তিন নারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার নারীরা হলেন—শারমিন আক্তার মিম (২৪), ফাহিমা ইসলাম তুরিন (২৬) ও নুসরাত আফরিন।

ডিবি বলছে, মারামারির ঘটনায় গ্রেপ্তার নারীদের মদ পানের লাইসেন্স ছিল না। তারা অতিরিক্ত মদ পান করে মাতাল হয়ে মারামারিতে জড়ান। সেলেব্রিটা বার নারীদের কাছে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে গোয়েন্দা পুলিশ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আমরা এই নগরে সবাই বাস সরি। নগরে বাস করতে গেলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। কোনো পুরুষ বা নারীর লাইসেন্স থাকলে বৈধ বার থেকে মদ পান করতে পারেন। এতে আইনগত বাধা নেই। কিন্তু, গত পহেলা বৈশাখের রাতে গুলশানে যারা মদ পান করে মারামারি করেছেন, তাদের কারো কোনো লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্সহীন কারো কাছে বার কর্তৃপক্ষ মদ বিক্রি করতে পারে না। তাদের উচিৎ ছিল এসব নারীর মদের লাইসেন্স পরীক্ষা করা। এমনকি, এই নারীদের কাছে অতিরিক্ত পরিমাণে মদ বিক্রি করেছে সেলেব্রিটা। তারা মদ পান করে মাতাল, বেসামাল হয়ে গেলেন। বারের লোকজনের উচিত ছিল, বেসামাল নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা। এই নারীরা বার থেকে বের হয়ে রাস্তায় গিয়ে প্রকাশ্যে মারামারিতে জড়ালেন। তা গুলশানের বাসিন্দারা দেখলেন। তারা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলেন। 

গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান আরও বলেন, আমি মনে করি, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এ ভিডিও দেখে ভাববে, শহরের রাস্তায় নারীরা মাতলামি করে, মারামারি করে। এটা কোনো অভিভাবকই মেনে নিতে পারবেন না। এই সকল নারীরা কারো না কারো সন্তান। তাদের অভিভাকদের উচিত, মেয়েরা কোথায় যায়, কী করে, সেদিকে খেয়াল রাখা। আজকে এই নারীরা বারে গিয়ে মদ পান করে এমন কার্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। যে মেয়েকে তারা মেরেছেন, সেই মেয়েটিও মাতাল ছিল। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে বারগুলো লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেবো।

ভুক্তভোগী নারী রিতা আক্তার সুস্মি বলেন, আমি ও আমার এক বন্ধু মিলে খাবার খেতে রেস্তোঁরায় যাই। খাওয়ার একপর্যায়ে টয়লেটে গিয়ে দেখি, চারজন মেয়ে একসঙ্গে টয়েলেটে প্রবেশ করেছে। বিষয়টি রেস্তোঁরার ম্যানেজারকে বলি। তারা মেয়েদের বের করে দেয়। আমি রেস্তোঁরা থেকে বের হওয়ার পর তারা আমার ওপর হামলা করে। 

মাকসুদ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়