গৃহকর্মীকে নির্যাতন মামলায় গৃহকর্ত্রীর বিচার শুরু
![গৃহকর্মীকে নির্যাতন মামলায় গৃহকর্ত্রীর বিচার শুরু গৃহকর্মীকে নির্যাতন মামলায় গৃহকর্ত্রীর বিচার শুরু](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024April/Untitled-1-2405141150.jpg)
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার গৃহকর্ত্রী সামিয়া ইউসুফ সুমি (ফাইল ছবি)
গৃহকর্মী ফারজানা আক্তারকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গৃহকর্ত্রী সামিয়া ইউসুফ সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এতে মামলাটির বিচার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
মঙ্গলবার (১৪ মে) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
জানা যায়, ফারজানাকে ২০১৫ সালে মাসিক তিন হাজার টাকার বিনিময়ে সামিয়ার বাসায় কাজে দেয় পরিবার। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সময় ফারজানা পরিবারকে জানায়, সামিয়া তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে, মারধর করে এবং খাবার দেয় না। ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সামিয়া ফোনে ফারজানার বাবাকে জানায়, তার মেয়ে খুব অসুস্থ। এরপর ওইদিনই স্ত্রী জোছনা বেগমকে নিয়ে বিল্লাল হোসেন ওই বাসায় গিয়ে ফারজানাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। অন্যদের সহায়তায় মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। কিছুটা সুস্থ হলে ফারজানা তাকে জানান, কাজে যোগদান করার পর থেকেই সামিয়া ফারজানাকে বিভিন্ন তুচ্ছ কারণে মারপিট করতো। পেটের দায়ে সে সকল অত্যাচার নীরবে সহ্য করে আসছিল।
গত ১৫ জানুয়ারি ঘর গোছানো ও বাসনপত্র ভেঙ্গে ফেলার মিথ্যা অভিযোগে এবং কাজে দেরি হওয়ার তুচ্ছ অজুহাতে সামিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ফারজানাকে লাঠি নিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে তাকে লোহার খুন্তি গরম করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেয়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক পোড়া জখম হয়। এ ঘটনায় ফারজানার বাবা বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া কলাবাগান থানায় ২০ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তের পর একই বছর ৩০ আগস্ট কলাবাগান থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শামীম অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে মামলাটি অধিকতর তদন্তে যায়। অধিকতর তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ইন্সপেক্টর মোস্তফা খায়রুল বাশার সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামুন/এনএইচ
আরো পড়ুন