গোপালগঞ্জের ওসিকুর হত্যার বিচার চান উপজেলা চেয়ারম্যান 

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে চা বিক্রেতা ওসিকুর ভূঁইয়া (৩৩) হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুল। একই সঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন এবং বেকারত্ব দূরীকরণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করীম সেলিমসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।  

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি। 

লিখিত বক্তব্যে কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুল বলেন, গত ৮ মে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেছেন। জেলা প্রশাসক মহোদয় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জ জেলায় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক নির্দেশনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে।’ নির্বাচনের পরে বিভিন্ন এলাকায় শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গীপাড়ায় গেলে আমি দিনব্যাপী সেখানেই সময় দিয়েছি। ১২ মে রাতে ব্যবসায়িক কাজে আমি ঢাকায় চলে আসি। এর মধ্যে গোপালগঞ্জে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা ঘটেনি। কিন্তু, অতি দুঃখের বিষয় গত ১৪ মে আমার নিজ গ্রামে মুরব্বিদের সামনে ধূমপান করাকে কেন্দ্র দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আমি জানতে পারি, একটি স্বার্থান্বেষী মহল সেই বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। আমি ওসিকুর হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। 

তিনি বলেন, আমি নিহতের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান টুয়েল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশারুল হক লিটু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ, গোবরা ইউনিয়ন পরিষদের  প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী সালাউদ্দিন প্রমুখ।  

উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ গুলিতে আহত হন চা বিক্রেতা ওসিকুর ভূঁইয়াসহ ছয়জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ওসিকুর চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের জলিল ভূঁইয়ার ছেলে।