ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শ্রদ্ধা, স্মরণ ও ঐক্যের আহ্বানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

ডেস্ক রিপোর্ট || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৯:৫২, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
শ্রদ্ধা, স্মরণ ও ঐক্যের আহ্বানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদারয় দিবসটি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

দিনাজপুরের হাবিপ্রবিতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপাচার্যের বক্তব্য পাঠ ও বিতরণ করা হয়। বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মধ্য দিয়ে একটি গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং ফ্যাসিবাদমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।”

অন্য দিকে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩ এর শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদার। পরে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “১৯৭১ সালে পরাজিত শক্তি পরিকল্পিতভাবে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ বহু বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে, যা জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। এ সময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, প্রক্টরসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বালনের কর্মসূচিও রাখা হয়।”

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকালে নগরীর দমদমা বধ্যভূমিতে শোক র‌্যালি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী। পরে ক্যাফেটেরিয়ায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপাচার্য বলেন, “শুধু শিক্ষক নয়—বিভিন্ন পেশার মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়েই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। রংপুর অঞ্চলেও বহু বুদ্ধিজীবী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যাদের আত্মত্যাগ স্থানীয় ইতিহাসে উজ্জ্বল সাক্ষ্য হয়ে আছে। তিনি বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ধারণ করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।”

সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এসব কর্মসূচিতে বক্তারা একাত্তরের শহিদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং তাঁদের আদর্শে দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পাস প্রতিনিধিরা]

ঢাকা/সাকিব/হাবিবুর/ সাজ্জাদ/জান্নাত

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়