ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

‘প্রিন্স মামুনের ভিডিও যুব সমাজকে অশালীন আচরণে ধাবিত করছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১০, ১১ জুন ২০২৪   আপডেট: ২০:১৩, ১১ জুন ২০২৪
‘প্রিন্স মামুনের ভিডিও যুব সমাজকে অশালীন আচরণে ধাবিত করছে’

আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন বিভিন্ন প্রকার টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে ছড়িয়ে দেন। এসব দেখে যুব সমাজ অশালীন ও অশোভন আচরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। 

মঙ্গলবার (১১ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই মুহাম্মদ শাহজাহান প্রিন্স মামুনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে আদালতকে এ কথা জানান তিনি। 

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার প্রাথমিক তদন্তে আসামি (প্রিন্স মামুন) ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে যথেষ্ঠ তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। সে বিভিন্ন প্রকার টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে। যা দেখে যুব সমাজ অশালীন ও অশোভন আচরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কে বা কারা তাকে এ ধরনের অপকর্মে সহায়তা করছে এবং আরো তথ্যউপাত্ত সংগ্রহের লক্ষ্যে তার সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।   

রিমান্ড শুনানিকালে প্রিন্স মামুনকে এজলাসে তোলা হয়। এ দিন লায়লা আদালতে হাজির ছিলেন। 

শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনের কারণ জানতে চান। তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামি বাদীর সঙ্গে বসবাস করেছে কিনা জানার জন্য রিমান্ড প্রয়োজন।

প্রিন্স মামুনের পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, বাদীর বয়স ৪৮ বছর। আসামির বয়স ২০। যদিও এজাহারে বলা হচ্ছে ২৫ বছর। ৪৮ বছরের মহিলা বলছেন তাকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, দুই দিন আগে মারধরের এক মামলায় প্রিন্স মামুন জামিন পান। জামিন নেয়াটাই কাল হয়েছে। এরপরই তাকে আটকাতে ধর্ষণ মামলা দেওয়া হয়েছে। অথচ আগের মামলায় এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়নি। তিনি রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। 

এ পর্যায়ে বাদীপক্ষ বিরোধীতা করলে বিচারক বলেন, তারা দুজন শত শত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়েছেন। অ্যাভিডেন্স আছে। এক পর্যায়ে বিচারক প্রিন্স মামুনের কাছে জানতে চান, তারা একসঙ্গে থেকেছেন কিনা? উত্তরে মামুন ‘হ্যাঁ’ বলেন। 

বিচারক শুনানি শেষে রিমান্ড ও জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে প্রিন্স মামুনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন লায়লা আখতার। মামলার পর সোমবার (১০ জুন) রাতে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রফতার করে।

মামুন/তারা

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়