ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

আম সম্পর্কে ১০ তথ্য

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৩, ৯ জুন ২০২২   আপডেট: ২২:১৭, ৯ জুন ২০২২
আম সম্পর্কে ১০ তথ্য

আমের মৌসুম চলছে এখন। রসালো, মিষ্টি এই ফলকে ফলের রাজা বলা হয়। মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তরপূর্ব এলাকায় সেই প্রাচীন কাল থেকে এই ফল চাষ হচ্ছে। প্রায় ৫ হাজার বছর আগে উপমহাদেশে আমের চাষ শুরু হয়।

জানা যায়, বিশ্বজয়ী আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট আমাদের উপমহাদেশে এসে আম খেয়ে এর মিষ্টি স্বাদে মুগ্ধ হয়ে যান। পরে গ্রিসে ফিরে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে প্রচুর আম নিয়ে যান তিনি। চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং ছয় শতকে তৎকালীন বাংলাদেশে ভ্রমণে এসে আম খেয়ে মুগ্ধ হন। তার মাধ্যমে বিশ্ববাসী আম সম্পর্কে জানতে পারে। কালের বিবর্তনে এখন নানা জাতের আম চাষ হয় বিশ্বজুড়ে। আমাদের দেশে কয়েক শ’ জাতের আমচাষ করা হয়।

হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, গোপালভোগের মতো বেশকিছু জাতের আম খুব জনপ্রিয়। সুমিষ্ট এই ফল নিয়ে কয়েকটি তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো-

* আম ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইন এই তিনটি দেশের জাতীয় ফল। আর আম গাছ বাংলাদেশের জাতীয় গাছ। 

* বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয় ভারতে। বছরে প্রায় ২৫ মিলিয়ন টন উৎপাদন করে দেশটি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়া ও চীন।

* মধ্য ভারতের খানদেশ এলাকায় বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো একটি আম গাছ আছে। প্রায় ৩০০ বছর পুরোনো এই গাছে এখনো আম দেখা যায়। 

* আমের স্বাদ নির্ভর করে এতে থাকা টারপিন, ফিউরানোন, ল্যাকটোন ও অ্যাস্টারের মতো রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতিতে। 

* গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমটি ২০০৯ সালে উৎপন্ন হয় ফিলিপাইনের এক বাগানে। আমটির ওজন ছিল প্রায় সাড়ে তিন কেজি, সেটি ছিল এক ফুট লম্বা। 

* আম গাছের নিচে গৌতম বুদ্ধ ধ্যানমগ্ন হয়েছিলেন বলে এই গাছ বৌদ্ধদের কাছে খুব পবিত্র। 

* মোগল সাম্রাজ্যে আম শুধুমাত্র রাজ পরিবারের বাগানেই চাষ করার অনুমতি ছিল। তারপর সম্রাট শাহজাহান রাজ পরিবারের বাইরে আমের চাষ করার অনুমতি দেন বলে জানা যায়।

* ভারতে ঝুড়ি ভরা আম উপহার দেয়া ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।

* ‘এ হিস্টোরিক্যাল ডিকশনারি অব ইন্ডিয়ান ফুড’ বই অনুসারে পর্তুগীজরা প্রথম আমের চাষ শুরু করে। তারপর তারা ফেরত যাওয়ার সময় আমের বীজ সংগ্রহ করে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন দেশে তা ছড়িয়ে দেয়। এভাবেই দেশে বিদেশে আমের ফলন শুরু হয়।

* দক্ষিণ ভারতে তামিল ভাষায় আমকে আম-কায় নামে অভিহিত করা হতো। পরবর্তীকালে তা মাম-কায় নামে পরিচিত হয়। তারপর তার নাম হয় মাঙ্গা। পর্তুগীজরা শেষমেশ ‘ম্যাঙ্গো’ নামকরণ করে যা পরবর্তীকালে বিখ্যাত হয়।

/ফিরোজ/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়