ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘সংসদে কি রুমিন ফারহানার কাপড়-চোপড় নিয়ে কথা বলব’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:৪৩, ৩০ জুন ২০২২  
‘সংসদে কি রুমিন ফারহানার কাপড়-চোপড় নিয়ে কথা বলব’

ফাইল ছবি

পদ্মা সেতুকে স্বাধীনতার পর দেশের সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ অবকাঠামো উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সংসদ অধিবেশনে পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলব না, তো কী নিয়ে কথা বলব? আমরা কি ওনার (রুমিন ফারহানা) কাপড়-চোপড় নিয়ে কথা বলব? আমি তো তা করব না।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বাজেট নিয়ে রুমিন ফারহানার ছাঁটাই প্রস্তাবের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে, চলতি অধিবেশনকে বাজেট অধিবেশন না বলে পদ্মা অধিবেশন নামকরণের বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার বক্তব্যের পাল্টা বক্তব্যে এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে রুমিন ফারহানা নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। আগের দিন রুমিন বলেছিলেন, চলতি অধিবেশনকে পদ্মা সেতু অধিবেশন বা বিএনপি অধিবেশন বলা যায়।

রুমিন ফারহানার আগের দিনের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা নাকি এখানে (সংসদে) খালেদা জিয়ার বকাবকি করি। আমরা নাকি পদ্মা সেতু নিয়ে বেশি বেশি কথা বলছি। আমরা এ সংসদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আলাপ করেছি। পদ্মা সেতু অবকোর্স বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট অ্যাচিভমেন্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দেওয়ার পরে যদি কোনো ঐতিহাসিক তৎপর্যপূর্ণ স্থাপনা হয়ে থাকে সেটি হচ্ছে পদ্মা সেতুর অবকাঠামো। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। তো আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলব না, তো কী নিয়ে কথা বলব? আমরা কি ওনার (রুমিন ফারহানা) কাপড়-চোপড় নিয়ে কথা বলব? আমি তো তা করব না।’

পরে জননিরাপত্তা বিভাগের বরাদ্দের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দেন রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেন, ‘যুক্তিবিদ্যার সবচেয়ে বড় ফ্যালাসি হচ্ছে যখন কোনও যুক্তি থাকে না, তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ করা। যখন যুক্তি থাকে না, তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ আসে। উনি যুক্তি না পেয়ে আমার পোশাক নিয়ে আলোচনা হবে কিনা, এমন অসভ্য বক্তব্য দিয়েছেন- যা আমরা আইনমন্ত্রীর কাছে আশা করি না। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী। এই বক্তব্য পুরো সংসদের জন্য লজ্জার।’

এদিকে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনার জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এখানকার আসনে বসে বলছেন নির্বাচন হয় না। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে উনি সংসদে গেলেন কীভাবে? এর জবাব উনি দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভোট কীভাবে হয়েছে তা আমরা দেখেছি। ওই সময় কারও ভোট কেন্দ্রে যাওয়া লাগত না। ভোট হয়ে যেত। আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন তাদের (বিএনপি) ছিল। মাগুরার ভোটের কথাও সবাই জানে। ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি কী করেছে। এগুলো কি ওনারা ভুলে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি বারবার বলছেন তাদেরকে নির্বাচনে আনতে হবে। তারা কি পাকিস্তানে থাকে যে সেখান থেকে ডেকে আনতে হবে? তারা তো বাংলাদেশে থাকে। বাংলাদেশ হয় নির্বাচন। ওনারা নির্বাচন করতে চাইলেই নির্বাচন করতে পারে।’

আসাদ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়