ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১৭ জেলায় ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৭, ২৮ জুলাই ২০২২   আপডেট: ১৩:৫৪, ২৮ জুলাই ২০২২
১৭ জেলায় ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ২০১৪ সালে অমুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ ও আইডি কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রথম ধাপে আজ দেশের ১৭টি জেলায় একযোগে ৪৯ হাজার ৫২২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া হবে ডিজিটাল পরিচয়পত্র ও সনদ।

জেলাগুলো হলো-ঢাকা, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, মেহেরপুর, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নড়াইল, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকরা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১৭টি জেলায় এ কার্যক্রম শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলার মুক্তিযোদ্ধাদেরও এই সুবিধার আওতায় আনা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন, তারা সার্টিফিকেট এবং আইডি কার্ড দুটিই পাবেন। কিন্তু যেসব মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন, তাদের জন্য শুধু ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের অপর জেলাগুলোর গেজেটভুক্ত আরও দেড় লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে একইভাবে পরিচয়পত্র ও সনদ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সারাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজ নিজ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) থেকে ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড পাওয়া মানে, তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। এটাই তার বড় পরিচয়।

মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র যাতে কেউ জাল করতে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল সনদে ১৪ ধরনের এবং পরিচয়পত্রে ১২ ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুগলে গিয়ে ‘ফ্রিডম ফাইটার ভেরিফায়ার’ অ্যাপের মাধ্যমে এই সনদ ও পরিচয়পত্রে ইউনিক নম্বর আপ করলে প্রথমেই ৩০ সেকেন্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও জাতীয় সংগীত শোনা যাবে। এতে আরও রয়েছে থ্রিডি লোগো, দুটি করে কিউআর কোড, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ফুল শাপলার অ্যাম্বুশ করা শ্যাডো, বীর মুক্তিযোদ্ধার পৃথক তথ্যকণিকা, ইস্যুকারী মন্ত্রী ও সচিবের স্বাক্ষর, ওয়াটার মার্ক, জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধুসহ নানা ধরনের নির্ধারিত আল্টামার্ক। যার অনেক কিছু খালি চোখে দেখা যাবে না। এই সনদ ও পরিচয়পত্র ফটোকপি করা হলে ওই কপিতে অসংখ্যবার কপি বলে উল্লেখ থাকবে, এটিও খালি চোখে দেখা যাবে না। 

/আসাদ/সাইফ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়