দক্ষ যুবশক্তি তৈরিতে সহযোগিতা বাড়াবে রাশিয়া

বাংলাদেশের তরুণদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে রাশিয়ার সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে বলে জানিয়েছেন রোসশোত্রুদনিচেস্তভোর মস্কো হেড অফিসের ডেপুটি হেড পাভেল শেভতসভ।

‘বাংলাদেশের শিক্ষাগত, বৈজ্ঞানিক ও যুব কর্মকাণ্ডে রসোট্রুডনিচেস্টভোর ভূমিকা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

বিশ্বব্যাপী রাশিয়ান হাউসের মস্কোর প্রধান কার্যালয় রোসশোত্রুদনিচেস্তভোর ডেপুটি হেড পাভেল শেভ্ত্সভ্ এবং বাংলাদেশি মিডিয়া প্রতিনিধিদের সাথে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউস বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একাডেমির সহযোগিতায় এর আয়োজন করে।

শুরুতে ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের পরিচালক পাভেল দভইচেনকভ্ তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকায় রাশিয়ান হাউস সর্বদা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছে। মস্কোতে রোসশোত্রুদনিচেস্তভোর প্রধান কার্যালয় দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে, এ ছাড়াও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য রাশিয়ায় রুশ সরকারের বৃত্তির সুযোগ-সংক্রান্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি রুশ ভাষা কোর্স উন্নয়নের কাজ।

সংবাদ সম্মেলনে পাভেল শেভ্ত্সভ্ বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার জন্য দক্ষ জনশক্তি খুবই প্রয়োজন। রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কারণে দেশটির সরকার ধীরে ধীরে বৃত্তির সংখ্যা ১২৪-এ উন্নীত করেছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই সংখ্যা আরও বাড়বে এবং রোসশোত্রুদনিচেস্তভোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি কার্যালয় ঢাকার রাশিয়ান হাউস বাংলাদেশের যে কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রক্রিয়ায় জন্য যথেষ্ট সক্রিয়। তিনি রাশিয়ান সরকারের নিউ জেনারেশন এবং ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল ২০২৪-এ আগ্রহের জন্য বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান এবং তাদের রাশিয়ায় স্বাগত জানান। তিনি গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সংবাদ সম্মেলনের পর বাংলাদেশি শিল্পীরা অনুপ্রেরণামূলক দেশাত্মবোধক গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।