ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের প্রত্যয়নপত্র পেশ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৬, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২২:০৬, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের প্রত্যয়নপত্র পেশ

মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতি মোহামেদ উল্ড শেখ এল ঘাজুওয়ানি’র কাছে প্রত্যয়নপত্র পেশ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচটে অবস্থিত রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে গার্ড অব অনার সম্বলিত রাষ্ট্রাচারের মাধ্যমে প্রত্যয়নপত্র হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে মৌরিতানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রাচার পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ হতে শুভেচ্ছা জানান। মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতি মোহামেদ উল্ড শেখ এল ঘাজুওয়ানি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণে অভিনন্দন জানান।

সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত জুলকার নায়েন বিগত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র বিশদভাবে তুলে ধরলে মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতি উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত আছেন বলে জানান। রাষ্ট্রপতি ঘাজুওয়ানি দুই দেশের মধ্যকার উন্নয়ন সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে অভিমত দেন। রাষ্ট্রদূত জুলকার নায়েন এ বিষয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কার্যক্রম শুরু করেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মৌরিতানিয়ার কূটনৈতিক বছরব্যাপী স্নাতকোত্তর কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন বলে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। মৌরিতানিয়ার রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ এবং মৌরিতানিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কন্নোয়নে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

উল্লেখ্য যে, বিগত তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে মৌরিতানিয়ায় রপ্তানির পরিমাণ ০.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে দ্বিগুণ হয়ে প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মৌরিতানিয়ায় তৈরি পোশাক ও ওষুধ প্রধান রপ্তানি পণ্য হলেও ভবিষ্যতে এ দুটি’র পাশাপাশি অন্যান্য খাত যেমন-খেলনা, আসবাবপত্র, মাছ ধরা ট্রলার হতে অধিকতর রপ্তানির ব্যাপারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ ও মৌরিতানিয়া সরকারের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়