‘কোটা আন্দোলন ও একাত্তরে জামায়াতের তাণ্ডবে হুবহু মিল’ 

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে এ দেশে তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, জামায়াত তাণ্ডব চালিয়েছে, ঠিক তেমনই কোটা আন্দোলনের নামে তাণ্ডব, ১৯৭১ সালের সাথে হুবহু মিল রয়েছে। এই হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। তারা ছিল বিএনপি-জামায়াত- রাজাকারের দল। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।  

তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপি-শিবির-ছাত্রদল স্বাধীনতাবিরোধীরা এত শক্তি কোথা থেকে পেল? এটা আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। যেখান থেকেই হোক, যত বড় শক্তিশালী হোক, আইনের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। 

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করেছেন। দেশি ও আন্তর্জাতিক সব ষড়যন্ত্র আর নানা প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। 

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদ হোসেন মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম সুলতান আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুজ্জামান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও সরকারি সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে একটি মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু করা হয়। মিছিলটি পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।