ওসমান হাদির মৃত্যুতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ
কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
জুলাইযোদ্ধা ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার শহরে মিছিল করেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা
সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাইযোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর ঘটনায় কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে শহরের বাসটার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভকারীরা ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’, ‘হাদি ভাই মরলো কেন? প্রশাসন জবাব চাই’ ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ বলে স্লোগান দেন।
বক্তারা বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে এনসিপি ও জামায়াতের লোকজন হাদির মৃত্যুর খবরে বিক্ষোভ করেন। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ওই রাতেই সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
ওসমান হাদি ১৯৯৩ সালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, যার আদর্শ ও নৈতিক শিক্ষা হাদির জীবন গঠনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠতম।
ওসমান হাদির শিক্ষা জীবনের ভিত্তি গড়ে ওঠে ঝালকাঠির বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসায়। সেখান থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করে তিনি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান ঢাকায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেন।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ