ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ২৫ মে ২০২৫   আপডেট: ১৯:৫৪, ২৫ মে ২০২৫
১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বক্তব্য প্রদান করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

কোরবানি শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রবিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট ও কাঁচা চামড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভা এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তি‌নি এ কথা জানান।

আরো পড়ুন:

উপদেষ্টা বলেন, “কোরবানি ঈদ তিন দিনব্যাপী চলে। এর মধ্যে প্রথম দিনে প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ গরু বা পশু কোরবানি করা হয়ে যায়। বাকি দুই দিনে বাকি ৫-১০ শতাংশ কোরবানি করা হয়ে থাকে। জনগণের দুর্ভোগ নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দ্রুত করার স্বার্থে কোরবানি শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এ বিষয়ে দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সভাকে কথা দিয়েছেন। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।”

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “এ বছর গরুর হাটের হাসিল কমানো সম্ভব হয়নি, ৫ শতাংশ হাসিল অনেক বেশি। তবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যাতে আগামী বছর থেকে হাসিল ৩ শতাংশের বেশি না হয়।”

তিনি বলেন, “এবার ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ২০টি কোরবানির হাটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসব হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য হাটপ্রতি কমপক্ষে ৭০ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “কোরবানির হাটে পশু চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে কোনো অসুস্থ গরু বা পশু বিক্রি হতে না পারে। তাছাড়া অনেকেই গরুর হাটে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে, সেজন্যও চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিটি হাটে নিয়োজিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ এটির বন্দোবস্ত করবেন।”

উপদেষ্টা বলেন, “কোরবানির পশুর গাড়িগুলো কোনো অবস্থায় রাস্তায় নামানো যাবে না। এর জন্য প্রত্যেক হাটে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং স্থানটি রাস্তা থেকে অনেক দূরে থাকতে হবে।”

উপদেষ্টা আরো বলেন, “পর্যাপ্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে প্রতি বছর অনেক চামড়া নষ্ট হয়। আমরা চাই বিক্রেতারা চামড়ার নায্যমূল্য পাক। চামড়ার ন্যায্যমূল্য গরীবের হক। চামড়াগুলো সাধারণত বিভিন্ন গরীব মানুষকে, এতিমখানায়, মাদ্রাসায় দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা এটার ন্যায্য মূল্য পান না। তারা যাতে চামড়ার নায্যমূল্য পায়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়