প্রশাসন পক্ষপাত করবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি উত্থাপিত হয়েছে। অতীতের মতো এবারও প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। প্রশাসন পক্ষপাত করবে না।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত ১৫তম সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রশাসনিক প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা জোরদার করতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, কোনো কর্মকর্তা বা পুলিশ সদস্যের বদলি বা পদায়নে অনিয়মের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রিক্রুটমেন্ট বা পোস্টিং বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব, বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা রোধে বিশেষ নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গণমাধ্যম সত্য ঘটনা তুলে ধরলে গুজবের জায়গা থাকবে না। জনগণকেও সচেতন হতে হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একা সব গণ্ডগোল থামাতে পারবে না। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ছাড়া স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়।
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি
সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ড বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সভায় ফায়ার সেফটি ও মহড়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসকে নিয়মিত মহড়া করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনগণকে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ, নারী-শিশু সুরক্ষা এবং প্রবাসীদের কল্যাণ
সভায় মাদক নিয়ন্ত্রণ, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, এবং প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানানো হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের সভায়।
রাজনৈতিক সহিংসতা ও স্থানীয় বিরোধ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ
সভায় বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময় পারিবারিক বা স্থানীয় পর্যায়ের ক্ষুদ্র সংঘাতও বড় আকার নিতে পারে।
রাঙ্গুনিয়া, রামু ও রাউজানসহ কিছু এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এসব এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এএএম/রফিক