ঢাকা     বুধবার   ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পাব‌লিক প্লে‌সে ধূমপানে সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা জরিমানা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৮:৫৮, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
পাব‌লিক প্লে‌সে ধূমপানে সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা জরিমানা

পাব‌লিক প্লেসে ধূমপান কর‌লে গুনতে হ‌বে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা জ‌রিমানা।

পাবলিক প্লেসের আওতা এবং পাবলিক প্লেসে ধূমপানের শাস্তি বাড়িয়ে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ ও সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি ক‌রে‌ছে সরকার।

আরো পড়ুন:

গত মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে রাষ্ট্রপতির নি‌র্দেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

এতে প্রকাশ্যে ধূমপান করার জরিমানা ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা করা হয়েছে।

অধ্যাদেশে তামাকের প্যাকেজিংয়ে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং। তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের গায়ে বিদ্যমান ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ৭৫ শতাংশ এলাকাজুড়ে স্বাস্থ্যসম্পর্কিত সতর্কবাণী মুদ্রণের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।

অধ্যাদেশে পাবলিক প্লেসের সংজ্ঞা ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস, হাসপাতাল, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, শপিংমল, পরিবহন টার্মিনাল, পার্ক, মেলা, এমনকি সরকারি ভবনের বারান্দা, প্রবেশপথ ও আশপাশের উন্মুক্ত স্থানও আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

এসব স্থানে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকছে।

আগের আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য স্থান নির্ধারণের যে বিধান ছিল, তা অধ্যাদেশে বাতিল করা হয়েছে।

নতুন অধ্যাদেশে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সিনেমা, নাটক ও প্রামাণ্যচিত্রে তামাক ও ই-সিগারেট ব্যবহারের দৃশ্য প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনসহ ইন্টারনেট বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের সব ধরনের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রসার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পয়েন্ট অব সেলসে তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা মোড়ক প্রদর্শনও নিষিদ্ধ। ক্রেতার কাছে বিক্রির সময় ছাড়া সব পণ্য দৃষ্টির আড়ালে রাখতে হবে। করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) নামে তামাক কোম্পানির নাম, লোগো বা সহায়তা প্রদর্শনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে অধ্যাদেশে।

এ বিধান লঙ্ঘনের জরিমানা ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।

অধ্যাদেশে সব তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটে উভয় পাশে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ জায়গাজুড়ে রঙিন ছবি ও লেখাসহ স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগের আইনে ৫০ শতাংশ জায়গাজুড়ে সতর্কবার্তা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেজিংয়ে উৎপাদনের তারিখ ও কুইটলাইন হেল্প নম্বর লিখতে হতো। স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং ছাড়া তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আইন ভঙ্গের অভিযোগ ও মামলার ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ অবৈধ বিজ্ঞাপন সরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে পারবে বলেও আধ্যাদেশে বলা হয়েছে।

২০০৫ সালের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করে এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়