প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
যবিপ্রবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমে গত ২৭ ডিসেম্বর ‘তথ্য পাচারে সম্পৃক্ততা, যবিপ্রবির নির্বাহী প্রকৌশলীকে শোকজ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন যবিপ্রবির প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমান।
তিনি এ প্রতিবেদনকে ‘অসত্য তথ্যসম্বলিত একপেশে সংবাদ’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, “সংবাদ প্রকাশের পূর্বে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে আমার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করা হয়নি।”
অভিযোগের বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেছেন, “মূল বিষয়টি হলো— যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাফিউল হাসান কর্তৃক প্রণীত গ্যালারির এসি মেরামত কাজের ত্রুটিপূর্ণ প্রাক্কলনে অস্বাভাবিক দাম থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে আমি স্বাক্ষর না করে সংশোধনের জন্য ফেরত দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক তার দপ্তরের তথ্যপাচারের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন ড. রাফিউল। উল্লেখ্য যে, এ তথ্যগুলো আমার দপ্তরের কাজের সাথে সম্পৃক্ত তথ্য এবং আমি সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য সচিব। আমার দপ্তরের সাথে সম্পৃক্ত তথ্য আমার কাছে আসলে বা পাঠানো হলে সেটি গোপনীয় নথি সংগ্রহ হয় কীভাবে? একটি প্রাক্কলন, একটি ফর্ম ও একটি ভাউচারকে কীভাবে নথি হিসেবে সঙ্গায়ন করা হলো তা আমার বোধগম্য নয়।”
এ প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাইজিংবিডি ডটকমের যবিপ্রবি সংবাদদাতা ইমদাদুল হক। তিনি বলেছেন, “রাইজিংবিডিতে প্রকাশিত ‘তথ্য পাচারে সম্পৃক্ততা, যবিপ্রবির নির্বাহী প্রকৌশলীকে শোকজ’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ সঠিক, তথ্যনির্ভর ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরণ করেই প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালকের আনীত লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি অভিযোগসংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের বক্তব্য গ্রহণ, প্রাসঙ্গিক নথিপত্র পর্যালোচনা ও সার্বিক তদন্ত শেষে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন প্রদান করে।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এ মর্মে তাকে শোকজ করা হয়। অর্থাৎ বিষয়টি কোনো অনুমাননির্ভর বা একপাক্ষিক নয়; বরং প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত ও সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সিদ্ধান্তের আলোকে গৃহীত প্রশাসনিক পদক্ষেপ।
যেহেতু অভিযোগের বিষয়টি ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রমাণিত এবং প্রশাসনিকভাবে নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াধীন, সেহেতু রাইজিংবিডির প্রতিবেদক নতুন করে অভিযুক্তের বক্তব্য সংযুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। এতে কোনো ধরনের পেশাগত অসততা বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণ নেই।
অভিযুক্ত ব্যক্তির যদি তদন্ত বা শোকজ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো আপত্তি, অসংগতি কিংবা বক্তব্য থাকে, তবে তার জন্য যথাযথ ও বৈধ ফোরাম হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি এবং সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী রিজেন্ট বোর্ড। গণমাধ্যমকে চাপ প্রয়োগ বা বিভ্রান্তিকর প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার সুযোগ নেই।
রাইজিংবিডি সবসময়ই সত্য, বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী এবং ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।”
লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের অভিযোগনামার প্রতিলিপি সংযুক্ত করেছেন যবিপ্রবি সংবাদদাতা। এ নথিটি রাইজিংবিডির দপ্তরে সংরক্ষিত আছে।
ঢাকা/ইমদাদুল/জান্নাত