আ.লীগ এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল নয়: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি বর্তমানে সন্ত্রাসীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এই দলের নেতাকর্মীরা বিরোধীদল ও মতের মানুষের রক্ততৃষ্ণায় কাতর। এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে-দেশকে হত্যা, দখল, হাঙ্গামা, রক্তারক্তি ও খুনোখুনিতে ভরিয়ে তোলা। এই দলের প্রতিটি স্তরে মানবাত্মার অবমাননার বিভিন্ন দিক জড়িয়ে আছে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত শনিবার দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনকালে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সমাবেশে অংশগ্রহণের আগে রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বাসভবনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনেই হামলা চালায়। তাদের পাশাপাশি পুলিশ দিনভর আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বাসভবনে গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ করে।

বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরপর দলীয় সভাস্থলে যাওয়ার সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ও গুলিবর্ষণ করে। এছাড়াও বেপরোয়াভাবে লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বহু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পরে ১৭ জন নেতাকর্মীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। মহিলা দলের নেত্রী ও রাজবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর ফারজানা ইয়াসমিন ডেইজিকে ১ নম্বর আসামি করে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফসার আলী সরদার, জেলা যুবদল সভাপতি খায়রুল আনাম বকুল, যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট নেকবর হোসেন মনি, কাউসার আহমেদ, জেলা ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলাম ও ইদ্রিস আলী শেখসহ ৪১ জন এবং অজ্ঞাত ১২০ জনকে আসামি করে মিথ্যা মামলা করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশব্যাপী পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে দোর্দণ্ড প্রতাপ শুরু করেছে বর্তমান সরকার। দেশে এখন জবাবদিহিতাহীন নির্মম দুঃশাসন বিরাজমান বলেই সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই সরকারের সৃষ্ট অবসন্ন গণতন্ত্রে মানুষকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দেশে ন্যায়বিচারের বালাই নেই। বিচারহীনতার কারণেই সন্ত্রাসীরা বেআইনি কাজ করতে উৎসাহিত হচ্ছে। এরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া দূরে থাকুক, বরং ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে জনগণের ওপর রক্তাক্ত আগ্রাসনের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত শনিবার দলীয় কর্মসূচি পালনকালে রাজবাড়ীতে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, গুলিবর্ষণ, লাঠিচার্জ ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে, তা সরকারের বর্বরতম পরিকল্পনারই অংশ। আমি এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বানসহ গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।