ঢাকা     শনিবার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩১

পিলখানা হত্যা দিবসটির পরিসর সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে: জিএম কাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
পিলখানা হত্যা দিবসটির পরিসর সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে: জিএম কাদের

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শোকাবহ দিবসটির গুরুত্ব কমে যাচ্ছে এবং আস্তে আস্তে শোক দিবসটি পাল‌নের প‌রিসর সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে ব‌লে সরকা‌রের সমা‌লোচনা ক‌রে‌ছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পিলখানা হত্যাযজ্ঞে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নি‌বেদন শে‌ষে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন তিনি। এর আগে তি‌নি শহীদ সেনা কর্মকর্তা‌দের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত ক‌রেন।

জিএম কা‌দের দুঃখ ক‌রে ব‌লেন, এতগুলো মেধাবী সেনা কর্মকর্তা হত্যার ঘটনা এত কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা চিরজীবী করতে হবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন দেশের মানুষ তাদের স্মরণে রাখবে এটাই আমরা চাই। আমরা আশা করছি, এই দিবসটির গুরুত্ব বাড়াতে সরকার কার্যকর উদ্যোগ নেবেন।

আরো পড়ুন:

তি‌নি ব‌লেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শোকাবহ এই দিবসটির গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। আগে সাধারণ মানুষের মাঝে যেটুকু আগ্রহ ছিলো, এখন তা কমে যাচ্ছে। এই শোকাবহ দিনটি শুধু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রের অনেক দায়িত্ব ছিলো, শুধু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছেই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ হবার কথা ছিলো না।

‘পিলখানা হত্যাযজ্ঞে শহীদ কর্নেল কুদরত-ই-এলাহী আমার ভাগ্নে। সে শহীদ হওয়ার তিন থেকে চার মাসের মাথায় আমার বোন মারা যান। আমরা তার পরিবার মনে করি, পুত্র শোকেই তিনি মারা গেছেন। শহীদ কর্নেল কুদরত-ই-এলাহী’র বাবা হাবিবুর রহমান এ মাসের ১৮ তারিখে মারা গেছেন। তাই আস্তে আস্তে পরিবারের সংখ্যাও কমে আসছে। তাই স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের মধ্যেও এই দিবস‌টি পাল‌নে প‌রিসর ছোট হ‌য়ে আস‌ছে,’ ব‌লেও ম‌নে ক‌রেন ভা‌গ্নে হারা‌নো মামা জিএম কা‌দের।

১৫ বছর অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু বিচারকার্য শেষ হয়নি সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, জনগণের আগ্রহ কমে গেছে, জনগণ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনো জিনিস এগিয়ে নিতে সরকার একটা বড় বাহন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ করতে সরকারের একটা দায়িত্ব আছে। বিচার কার্য চলছে, বিচার হলেই আমরা বুঝতে পারবো ন্যায়বিচার হয়েছে কিনা। বিচারাধীন এই বিষয়ে এখন কথা বলা ঠিক হবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, মো. আবু তৈয়ব, মাহমুদ আলম, কেন্দ্রীয় নেতা সাকিব রহমান, মেজর (অব.) সিকদার আনিসুর রহমান, রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া, মো. আব্দুর রহিম, জাহিদ বাবু, শিবলী আহমেদ। 

/নঈমুদ্দীন/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়