ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শক্তিশালী সমবায় প্রতিষ্ঠানই দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি: আবদুস সালাম

জবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৯, ৪ অক্টোবর ২০২৫  
শক্তিশালী সমবায় প্রতিষ্ঠানই দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি: আবদুস সালাম

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেছেন, “শক্তিশালী সমবায় প্রতিষ্ঠানই দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি। সরকারের নীতিগত সহায়তা ও সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সমবায় খাত দেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে।”

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর ওয়ারিতে ঢাকা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন–২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

আবদুস সালাম বলেন, “সমবায় বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছা ও সহায়তার অভাবে এ খাতটি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান সরকারি নিয়ন্ত্রণে গেলে তার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। অতীতে সমবায় অধিদপ্তর ও সদস্যদের যৌথ প্রচেষ্টায় খাতটি শক্ত অবস্থানে ছিল, কিন্তু বর্তমানে সেই সমন্বয় হারিয়ে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের নিজেদেরও একত্র হতে হবে। প্রতিটি সদস্যকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। সমবায় ইউনিয়ন আপনাদের পাশে আছে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে সমবায় খাত দিয়েই আমরা দেশের অর্থনীতির চেহারা বদলে দিতে পারি।”

ঢাকা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, “১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংকটির সোনালী বা অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের চেয়েও বড় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ও ঐক্যের অভাবে তা সম্ভব হয়নি।”

সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “সরকার যদি কেবল নীতিগত সহযোগিতা দেয়, তাহলে কৃষি, শিল্প, শিক্ষা—সব খাতেই সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বিপ্লব ঘটাতে পারি। সরকারের তহবিলও লাগবে না, শুধু সদিচ্ছাই যথেষ্ট।”

আবদুস সালাম অভিযোগ করে বলেন, “কিছু প্রভাবশালী মহল ও ভেজাল মামলার কারণে বহু সমবায় প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। ফলে সদস্যরা তাদের নিজস্ব সম্পদ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।”

ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাব স্বচ্ছ রাখতে হবে। যদি আমরা স্বচ্ছভাবে কাজ করি, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমবায় খাতের অবদান নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। এখন আর সময় নেই, এক-দুই বছরের মধ্যেই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।”

অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সভাপতি নজরুল সাহেবকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব ও নির্বাচনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম পারভেজ রেজা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মেজবাউল আলম, ব্যাংকের পরিচালক, সদস্য, কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সমবায় সংগঠনের প্রতিনিধি।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়