ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সরকারি ঘরে বদলে গেছে ২৪১৬ পরিবারের জীবনমান

মো. আবু নাঈম, পঞ্চগড়  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৬, ৫ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৬:২৫, ৫ আগস্ট ২০২১
সরকারি ঘরে বদলে গেছে ২৪১৬ পরিবারের জীবনমান

কেউ থাকতেন অন্যের বাড়িতে আবার কেউ অন্যের জায়গায় বা খাস জমিতে। তাদের ছিল না কোনো স্থায়ী ঠিকানা। পঞ্চগড়ের এমন ২ হাজার ৪১৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর দেওয়া হয়েছে। এসব ঘর পেয়ে বদলে গেছে তাদের জীবনমান। এই সুবিধার আওতায় এসেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীও।

মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে এই ঘরগুলো করা হয়। প্রত্যেকটি ঘরে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।

বিশেষ উপহারের এই ঘরগুলো পেয়ে হাসি ফুটেছে একসময়ের ছিন্নমূল, আশ্রয়হীন এবং দুর্ভোগ পোহানো মানুষের মুখে। মানবেতর জীবনযাপন থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তারা নিরাপদ, টেকসই ও মজবুত পাকা ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করছেন।

কথা হয় বোদা উপজেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উপকারভোগী লক্ষীরাম হাসদার সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে আমরা ছোট ভাঙা ঘরে শিশু-সন্তান নিয়ে শীত-বৃষ্টিতে থাকতাম। অনেক কষ্টে জীবনযাপন করতে হতো। সরকার আমাদের নতুন ঘর দেওয়ায় এখন আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে নিশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারছি। আগের মতো কষ্ট আর নেই।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিলুপ্ত গাড়াতি সিটমহলের আবু ইব্রাহীম বলেন, ৬৮ বছরের বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পেয়ে এখন আমরা সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছি। সুবিধাবঞ্চিত এই মানুষগুলো প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন ঘর পাওয়ায় কষ্ট দূর হয়েছে। শেষ বয়সে সরকারের দেওয়া সহযোগিতা পেয়ে এখন আমরা অনেক সুখে আছি।

হাফিজাবাদ ইউনিয়নের কামারপাড়া এলাকার সুবিধাভোগী ওমর আলী বলেন, নিজের জমি না থাকায় দীর্ঘ সময় মানুষের জায়গায় ঝুপড়ি ঘর তুলে থাকতাম। একটা সময় সামান্য জায়গা নিজের নামে কিনতে পারলেও ঘর করার সামর্থ্য হচ্ছিল না। সরকার আমাকে ঘর করে দিয়েছে। এখন নিজের জায়গায় পাকা ঘরে থাকতে পারছি। পাকা ঘরে থাকবো কখনো স্বপ্নেও দেখিনি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে পঞ্চগড়ে ২ হাজার ৪১৬টি ঘরের মধ্যে বিলুপ্ত সিটমহলবাসীদের মধ্যে পেয়েছে ১৩০ পরিবার এবং ১২০টি ঘর পেয়েছে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবার। অবশিষ্ঠ ঘরগুলো পেয়েছে ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় পরিবারগুলো।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের এই ঘরগুলো স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যারা ঘর পেয়েছেন, তারা আনন্দে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করছেন। 

এছাড়াও করোনাকালে দরিদ্র মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার যেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়ে লক্ষ রাখা হচ্ছে।

/মাহি/ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়