ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

হবিগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন, বাড়ি বাড়ি পিঠা উৎসব  

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১০, ২১ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৩:১৪, ২১ ডিসেম্বর ২০২১
হবিগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন, বাড়ি বাড়ি পিঠা উৎসব  

হাওর, পাহাড় ও শিল্পের জেলা হবিগঞ্জের গ্রামে গ্রামে চাষ হয়েছে আমন ধান। ফলনও ভালো হয়েছে। তাই কৃষকের মুখে হাসি। পৌষ মাসের প্রচণ্ড শীতের মধ্যে চলছে আমন ধান সংগ্রহ। গ্রামগঞ্জে বাড়ি বাড়ি এ ধানের চালে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের পিঠা।

শীতের মধ্যে এসব পিঠা খেতে অনেক স্বাদ বলে জানালেন জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রামশ্রী গ্রামের সাদেকুর রহমান চৌধুরী। তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন কৃষক সজল মিয়া, রমিজ মিয়া, সমুজ মিয়া, আশিক মিয়া, কাজল রায় ও বিধান চন্দ্র দেব।

আরো পড়ুন:

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ মৌসুমে ৭৯ হাজার ৯১ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় আমনের চাষ হয় ৮০ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে। এখানে ধানের উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৮৯৮ মেট্রিক টন ও চাল ২ লাখ ১৫ হাজার ৯৩২ মেট্রিক টন।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ইতোমধ্যে ধান কাটা পুরোদমে চলছে। অনেক স্থানে কাটা শেষ। বর্তমানে হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে প্রায় কৃষকই জমি থেকে ধান সংগ্রহ করছেন। এতে দ্রুত জমির ধান সংগ্রহ করতে পারছেন কৃষকরা। আর টাকাও কম খরচ হচ্ছে। ধানের মূল্য ভালো। প্রতি মণ ধান সাড়ে ৮০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চুনারুঘাটের লালচান্দের কৃষক এসএম সুমন মিয়া বলেন, একসময় শ্রমিকের জন্য অপেক্ষা করতে হতো। বর্তমানে হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা ও মাড়াই করা যাচ্ছে। ধানের মূল্য ভালো। ধান সংগ্রহ করার পর পিঠা তৈরি হয়েছে। নতুন ধানের চালে তৈরি পিঠা সবার পছন্দ। একই কথা বললেন কৃষক শরীফ মিয়া, কাজল মিয়া, ভিংরাজ মিয়াসহ অনেকে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তমিজ উদ্দিন খান বলেন, এ মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে গোলায় তুলছেন।  

তিনি বলেন, শুধু ধান চাষ করলে হবে না। পাশাপাশি ভুট্টা, সরিষা, আলু, পাট, তিলসহ অন্যান্য ফসল চাষের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে জেলাজুড়ে সরিষার চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চাষ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে। স্থানে স্থানে চাষ হচ্ছে ভুট্টা। একাধিক ফসল চাষে কৃষকরা যেমন লাভবান। তেমনি দেশ উপকৃত।

জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার ব্যাপারে জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে বলেই ধানের মূল্য ভালো। এছাড়া, কেউ যদি সিন্ডিকেট গড়তে চান, সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কৃষক বাঁচলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা থাকবে।

/মাহি/

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়