ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

৫০ দম্পতিকে সংসারে ফেরালেন আদালত

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ১৫ মার্চ ২০২২   আপডেট: ১৫:৫১, ১৫ মার্চ ২০২২
৫০ দম্পতিকে সংসারে ফেরালেন আদালত

কেউ একে অপরকে ভালোবেসে, কেউ আবার পারিবারিক সিদ্ধান্তে একসঙ্গে জীবন শুরু করেছিলেন। দুজনের মধ্যে গভীর ভালোবাসাও ছিল। কিন্তু পারিবারিক কলহ,যৌতুক দাবি, নির্যাতন ইত্যাদি কারণে তাদের মধ্যে দেখা দেয় কলহ। শুরু হয় দাম্পত্যের ছন্দপতন। এক পর্যায়ে তাদের সেই কলহ পৌঁছায় আদালত পর্যন্ত। এমন ৫০ দম্পতিকে আবারও সংসারের বন্ধনে ফিরিয়ে দিলেন আদালত। বিচারকের এই রায় একসঙ্গে নতুন করে জীবন কাটানোর সুযোগ করে দিলো ভালোবাসার দুই মানুষকে।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই রায় দেন।

আরো পড়ুন:

রায় ঘোষণার সময় আদালতে মামলার বাদী-বিবাদী, তাদের আইনজীবী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সবাইকে উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায়। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ৫০ নারী নিজেদের স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিভিন্ন সময় মামলাগুলো করেছিলেন। কিন্তু কোনো আসামিকে কারাগারে না পাঠিয়ে সংসার জীবন চালিয়ে যাওয়ার শর্তে বাদীদের সঙ্গে আপোস করিয়ে ৫০ দম্পতিকে সুখী জীবনে ফেরানোর প্রয়াস নেন বিচারক মো. জাকির হোসেন।

আদালতের আপোসনামায় ৫০ দম্পতি অঙ্গীকার করেন, সন্তানাদি নিয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করবেন তারা। সংসারে শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করবেন না তারা। স্বামী-স্ত্রী উভয়কে যথাযোগ্য মর্যাদা দেবেন।  স্বামী তার স্ত্রী বা তার মা-বাবা ও অভিভাবকের কাছে যৌতুক দাবি করবেন না। পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ও বিরোধ দেখা দিলে নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করবেন। 

সুনামগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নান্টু রায় বলেন, আদালত পৃথক ৫০টি নারী-শিশু নির্যাতন দমন মামলায় একসঙ্গে একটি রায় দিয়েছেন। আদালতে যে শুধু শাস্তি হয় না পরিবারে শান্তিও ফেরানো হয়।

আল-আমিন/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়