ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

লঞ্চে হবে আইসোলেশন সেন্টার

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ৫ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লঞ্চে হবে আইসোলেশন সেন্টার

বিলাসবহুল ও আধুনিক যাত্রীবাহী নৌযানগুলোতে (লঞ্চ) আইসোলেশন সেন্টার করার উদ্যোগ নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গত ৪ এপ্রিল লঞ্চ মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলে তারা এতে সম্মতি দেয়। প্রথমে ১৫টি নৌযান আইসোলেশন সেন্টারের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে। প্রয়োজন হলে এর সংখ্যা আরো বাড়বে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চলতি সপ্তাহে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।

নৌ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ৪৫টি রুটে প্রায় দেড় শতাধিক লঞ্চ চলাচল করে। এসবের মধ্যে ৫০টি নৌযান আইসোলেশন সেন্টারের জন্য বাছাই করা হয়েছে। প্রথমে ১৫টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এসব নৌযানের মধ্যে আছে ঢাকা-বরিশাল রুটের পারাবত- ১০, পারাবত–১১, পারাবত-১২, কামাল খান, সুরভী–৭,সুরভী–৮, সুরভী–৯, সুন্দরবন–৮, সুন্দরবন–১০, সুন্দরবন-১১, পারাবত-৮, কীর্তনখোলা-২, টিপু–৭, ফারহান-৮, অ্যাডভেঞ্চার-৯, অ্যাডভেঞ্চার– ১, গ্রীন লাইন,  মানামী, কুয়াকাটা-২; পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের সুন্দরবন-৯, কুয়াকাটা-১, কাজল-৭, চাঁদপুর রুটের সোনার তরী, ঈগল-১, ঈগল-২ , নিউ আল বোরাক, বোগদাদিয়া, শম্পা, প্রিন্স অব রাসেল, রফরফ , জমজম, সোনার তরী, ঈগলসহ বিভিন্ন রুটের নৌযান ।

এ বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, নৌযানে আইসোলেশন সেন্টার করার জন্য নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে একটি প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। নৌযানে আইসোলেশন সেন্টার কীভাবে পরিচালনা করা হবে তার একটি প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রুত পাঠানো হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তা অনুমোদেন করলে এসব আইসোলেশন সেন্টার করা হবে।

তিনি আরো বলেন, নৌযানে আইসোলেশন সেন্টার করা হলে দেশের যেসব অঞ্চলে করোনাভাইরাসের চিকিৎসাসেবা পৌঁছায়নি, সেখানে কেউ আক্রান্ত হলে এ সেন্টার সেখানে চলে যাবে।

উদাহরণ দিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘সম্প্রতি দেশে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে জীবনতরী ভাসমান হাসপাতাল ও লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল। তারা বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। তেমনভাবে বিভিন্ন এলাকায় করোনায় রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।’

লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। নৌমন্ত্রণালয় থেকে বিলাসবহুল  লঞ্চগুলোকে আইসোলেশন সেন্টার করার প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা তাতে সম্মতি দিয়েছি।’

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোকে আইসোলেশন সেন্টার করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে লঞ্চ মালিকরা সম্মতি দিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লঞ্চের নিরাপত্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা হয়েছে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান বলেন, ‘গোটা বিশ্বই এখন করোনায় কাবু। করোনা মোকাবিলায় নৌযানে আইসোলেশন সেন্টার করার উদ্যোগটি সময়োপযোগী। নৌ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব আসলে স্যার (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’


ঢাক/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়