ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ড্রেসিংরুমে বিবাদে জড়িয়ে কার্ডিফে ফাইনাল হেরেছিল জুভেন্টাস!

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ২৫ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ড্রেসিংরুমে বিবাদে জড়িয়ে কার্ডিফে ফাইনাল হেরেছিল জুভেন্টাস!

চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১২ বার শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত টানা তিন বছর এ শিরোপা জিতেছিল স্পেনের সেরা ক্লাবটি। এর আগে ২০১৪ সালেও শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতে রিয়াল। সব মিলিয়ে পাঁচ বছরে চারটি শিরোপা পেয়েছিল রোনালদো-রামোসরা।

২০১৭ সালে কার্ডিফে রিয়াল ৪-১ গোলে জুভেন্টাসকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতে। কার্ডিফে শিরোপা জয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদের পারফরম্যান্স নিয়ে যতটা না আলোচনা হয়েছিল, জুভেন্টাসের পারফরম্যান্স নিয়ে তার চেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছিল। বিশেষ করে প্রথমার্ধের বিরতির পর তাদের পারফরম্যান্স ছিল ওলটপালট। গণমাধ্যমে এসেছিল, জুভেন্টাসের খেলোয়াড়রা প্রথমার্ধ শেষে ড্রেসিংরুমে বিবাদে জড়িয়েছিলেন। তাতেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে ভুল পাসের ছড়াছড়ি, রিয়াল মাদ্রিদের আগ্রাসন এবং মনোবল নষ্ট হওয়ার খেসারত দিতে হয়েছিল বুফনদের। তবে ড্রেসিংরুমে অমন কিছু হয়নি বলেই জানালেন জুভেন্টাসের ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েলিনি। তাঁর দাবি, রাজ্যের ক্লান্তি ভর করেছিল জুভেন্টাসের খেলোয়াড়দের ওপর। তাতেই পারফরম্যান্সের সূচক নিচে নেমে গিয়েছিল।

সম্প্রতি নিজের অটোবায়োগ্রাফি ‘লো জর্জিও’ (আমি জর্জিও) প্রকাশ করেছেন কিয়েলিনি। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘কার্ডিফের বিখ্যাত ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আসলে সেদিন তেমন কিছুই হয়নি। আমরা ক্লান্ত ছিলাম।’

জুভেন্টাসের এ ডিফেন্ডার আরও লিখেছেন, ‘আমরা কেন নিজেদের মধ্যে তর্ক করবো? আমরা তো তখন ১-১ সমতায় ছিলাম। ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলাম না। স্বাভাবিকভাবেই তর্কের কোনও মানে হয় না। সেদিন কিছুই হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমরা ম্যাচে ছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পারফরম্যান্স ভালো ছিল না।’

কার্ডিফে সেদিন ম্যাচের ২০ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায়। সাত মিনিটের ব্যবধানে মারিও মানজুকিচ গোল করেন। ১-১ গোলে সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল। অথচ বিরতির পর তিন গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ইতালির শীর্ষ দলটি।

কাসেমিরো ৬১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান। ৬৪ মিনিটে রোনালদো নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। ৯০ মিনিটে জুভেন্টাসের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন মার্কো অ্যাসেনসিও। বলার অপেক্ষা রাখে না, জুভেন্টাসের দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী। অন্যদিকে রোনালদো, মার্সেলোরা ছিলেন নিজেদের সেরা ফর্মে। তাতে স্রেফ উড়ে যায় জুভেন্টাস।

 

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়