ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘বিশ্বকাপ জেতায় লোকে আমাকে এখন বেশি চেনে’

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ১৪ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘বিশ্বকাপ জেতায় লোকে আমাকে এখন বেশি চেনে’

পরপর দুই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ হেরে শূন্য হাতে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড। ২০১১-র পর ২০১৫ সালেও একই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি। কিন্তু ২০১৫ সালের পর পাল্টে গেল সব।

মিশন-ওয়ার্ল্ড কাপ-২০১৯। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, যেকোনো মূল্যে শিরোপা জিততেই হবে। লর্ডসের ব্যালকনিতে উঁচিয়ে ধরতে হবে সোনালী ট্রফিটি। যেমন কথা তেমন কাজ। চার বছরের রোডম্যাপ তৈরি করে ইসিবি। নেওয়া হয় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। শুরু হয় অক্লান্ত পরিশ্রম। অধিনায়ক এউয়ন মরগ্যানকে দেওয়া হয় পূর্ণ স্বাধীনতা। খেলোয়াড়রাও হয়ে উঠেন প্রাণবন্ত, উদ্যমী।

২০১৫ থেকে ২০১৯। অস্ট্রেলিয়া থেকে ইংল্যান্ড। অ্যাডিলেড থেকে লর্ডস। মাঝে ১০ হাজার মাইলের দূরত্ব। চার বছরে দিনের ব্যবধান ১৫৮৮।  সময়ের ব্যবধান ৩৮, ১১২ ঘণ্টা।  এ সময়ে মরগ্যান, বাটলার, ওকসদের মাথায় ঘুরেছে শুধু বিশ্বকাপ।  দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল শেষমেশ ভোগ করতে পারে ইংল্যান্ড। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ডের ঘরে গেল অরাধ্য সেই সোনালী ট্রফি। 

বিশ্বকাপ জয়ের এক বছর পূর্তিতে এউয়ন মরগ্যান জানালেন, বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বহুগুণ। ক্রিকেটাররা হয়ে উঠেছেন পোস্টারবয়। সব মিলিয়ে ক্রিকেটের উন্মাদনায় বুদ হয়ে আছে গোটা ইংল্যান্ড।

মরগ্যান বলেছেন,‘আমি মনে করি, ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এখানে উল্লেখযোগ্য রকম বেড়েছে। রাস্তায় কিংবা পাবে লোকে দেখলে ছুটে আসে। এটা শুধু এখানেই হচ্ছে তা নয়। আমরা যখন ছুটিতে যাচ্ছি বা টেনিস খেলা দেখতে যাচ্ছি সেখানেও একই চিত্র দেখা যায়। পুরো বিষয়টিকে আমি মনে করি ক্রীড়া উদযাপন এবং মনে হচ্ছে একমাত্র শিরোপা জিতলেও তারা উদযাপন করে। এখানে ক্রিকেটের ওজন বাড়ছে। এজন্য আমার দুনিয়াও পরিবর্তন হয়েছে। লোকে এখন আমাকে বেশি চেনে।’

২০১৫ বিশ্বকাপের পর মরগ্যানরা যে নিবেদন দেখিয়েছেন, যে পরিশ্রম করেছেন তা ফুটে উঠেছে ঘরের মাঠে। মাঠে নেমে প্রতিপক্ষকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে তারা। তবে ফাইনাল ছিল নাটকীয়তায় ভরা। দুই দলের একশ ওভারের ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে খেলা হয়। পরবর্তীতে সুপার ওভারও টাই হওয়ায় ম্যাচ নিষ্পত্তি হয় বাউন্ডারি সংখ্যা হিসেব করে। বাউন্ডারিতে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকায় ম্যাচ স্বপ্নের শিরোপা জিতে নেয় ক্রিকেটের জনকরা।

নাটকীয় ফাইনাল নিয়ে মারগ্যান স্মৃতিচারণ করে বলেন,‘শেষ চার মাস জীবনের জন্য ছিল কঠিন সময়। তবে এ সময়ে আমি তিনবার ফাইনাল ম্যাচটি দেখেছি। প্রথমবারের মতো আমি ফাইনাল ম্যাচটি উপভোগ করতে পেরেছি। ম্যাচটি আসলে দারুণ বিজ্ঞাপন হয়ে গেছে। ইংল্যান্ডের ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম সেরা দিন একটি। আমি বিশ্বাস করি এটা আরও অনেক দিন উপভোগ করতে পারবে সবাই। অনেক তৃপ্তিদায়ক।’

 

ঢাকা/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়