ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

পরপারে ইতালির ১৯৮২ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৫, ১০ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১১:৩৭, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
পরপারে ইতালির ১৯৮২ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন লিজেন্ড ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর আরেক কিংবদন্তির চিরবিদায়ের খবর এলো। দুই মাস ধরে অসুস্থ থাকার পর জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন ইতালির লিজেন্ড পাওলো রসি। ৬৪তম জন্মদিনের দুই মাস পর না ফেরার দেশে চলে গেছেন ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানায়। স্ত্রী ফেদেরিকো কাপ্পেলেত্তি রসির সঙ্গে একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ইতালিয়ান গ্রেটের মৃত্যুর ঘোষণা দেন, ‘তোমার মতো আর কেউ হবে না, তুমি ছিলে অনন্য, বিশেষ কিছু। তোমার পরে আর কিছুই নেই।’ ফুটবল বিশ্লেষক হিসেবে রসি কাজ করছিলেন ইতালিয়ান টেলিভিশন চ্যানেল আরএআই স্পোর্তের সঙ্গে। তারাও শোক প্রকাশ করেছে, ‘খুবই দুঃখজনক সংবাদ, পাওলো রসি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।’

ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমে পাবলিতো নামে পরিচিত রসি। যেই বিশ্বকাপে তিনি বীরত্ব দেখিয়েছিলেন, সেই আসরে খেলাই হতো না তার। বাজির কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে ১৯৮০ সালে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিন বছরের জন্য। কিন্তু নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সফল হন। আর ফিরে যা করেছেন, তা তো আজও ইতিহাস।

জুভেন্টাস ও এসি মিলানের সাবেক অ্যাটাকার ৩৮ বছর আগে স্পেনের আসরে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করে ইতালিকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বানাতে ভূমিকা রাখেন। ওই টুর্নামেন্টে ছয় গোল করে গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুট জেতেন তিনি। একই বছরে ফুটবলের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ব্যালন ডি’অরও হাতে নেন।

ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩-২ গোলের বিখ্যাত জয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রসি। পোল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালেও দুটি গোলই ছিল তার। পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম গোলটি করেন তিনি। ইতালি তাদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জেতে ৩-১ গোলে।

একই সঙ্গে বিশ্বকাপ শিরোপা, গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুট জেতা প্রথম খেলোয়াড় ছিলেন রসি। ২০০২ সালে রোনালদো নাজারিও একই কীর্তি গড়েন।

১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতালির হয়ে ৪৮ ম্যাচে ২০ গোল করেছিলেন রসি। তার ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ভিসেঞ্জার সঙ্গে এবং পরে পেরুগিয়ায় যোগ দেন। ১৯৮১ সালে জুভেন্টাসে চুক্তি করার পরই তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন তিনি। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে মিলান ও ভেরোনার হয়েও খেলেছেন রসি। সিরি ‘আ’য় তার অভিষেক হয় কোমোর সঙ্গে।

৩৩৮ ক্লাব ম্যাচে ১৩৪ গোল করে ওই সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড হিসেবে পরিচিতি পান রসি। ১৯৮১-৮২ ও ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে দুইবার সিরি ‘আ’ জেতেন। ১৯৮৪-৮৫ ওল্ড লেডিদের সঙ্গে হাতে নেন ইউরোপিয়ান কাপ।

খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে ফুটবল মাঠে না থাকলেও ছিলেন খেলার সঙ্গেই। নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন কলামিস্ট ও বিশ্লেষক হিসেবে।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়