ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

তাঁরা দুজন অবসরে

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৯:৫৫, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
তাঁরা দুজন অবসরে

সব ধরণের ক্রিকেটকে বিদায় বললেন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ও ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস। শনিবার দুপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারের সামনে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার অবসরের ঘোষণা দেন। 

বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা কিংবা খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানার ঘটনা খুব কমই আছে। সেখানে বাঁহাতি স্পিনার রাজ্জাক ও বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাফিস বড় মঞ্চে নিজেদের খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানলেন। তাঁদের জন্য ছোট্ট আয়োজনের উদ্যোগ নেয় ক্রিকেটার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) । যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীসহ ও বোর্ডের একাধিক পরিচালক।

২২ গজকে বিদায় বললেও দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে থাকবেন দুজনই। জাতীয় নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। শাহরিয়ার নাফিস কাজ করবেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে। 

দেশের হয়ে দুজনের যাত্রা শুরু একদিনের ক্রিকেট দিয়ে। রাজ্জাক ২০০৪ সালে, নাফিস এক বছর পরই। হংকংয়ের বিপক্ষে অভিষেকের পর রাজ্জাক ২০১৪ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ১৫৩ ম্যাচ। এ সময় উইকেট নিয়েছেন ২০৭টি। সেরা বোলিং ২৯ রানে ৫ উইকেট। এ ছাড়া ১৩ টেস্টে ২৮ ও ৩৪ টি-টোয়েন্টিতে ৪০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। 

বিদায়ের মুহূর্তে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রাজ্জাক বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারব না। কিছু বলার অবস্থায় নেই। প্রত্যেকটা জিনিসেরই শেষ আছে, শেষ করতে হবে এবং অবশ্যই দেখা যাবে আমাদের জায়গাতে অন্য কেউ আসবে। তাদেরকেও জায়গা করে দিতে হবে।’  

নাফিসের অভিষেক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১১ সালে খেলেন সর্বশেষ ম্যাচ। এ সময় ৭৫ ম্যাচে ৩১.৪৪ গড়ে ২২০১ রান করেন। ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি রয়েছে ৪টি। হাফসেঞ্চুরি ১৩টি। এ ছাড়া ২৪ টেস্টে ২৬.৩৯ গড়ে করেন ১২৬৭ রান। টেস্টে তার সেঞ্চুরি ১টি হাফসেঞ্চুরি ৭টি। একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে করেন ২৫ রান।

বিদায়বেলায় তার কন্ঠে ছিল না প্রাণ, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। এরকম একটি আনুষ্ঠানিক বিদায়ের কথা বলার জন্য। তারা এই পরিস্থিতিটি তৈরি করে দিয়েছেন এবং কোয়াবকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই।   বিশেষ ধন্যবাদ আমার শৈশবের কোচ ওয়াহিদুল গনি স্যার।   উনি আমাকে খেলোয়াড় হিসেবে তৈরি করেছেন এবং ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। উনার কারণে আমি এতদূর আসতে পেরেছি। আমার জন্য দোয়া করবেন যে বাংলোদেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে পারি।’

ঢাকা/রিয়াদ/ইয়াসিন

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়