ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

নিউ জিল্যান্ড থেকে ‘কিছু’ নিয়ে ফিরতে চান সাইফউদ্দিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২১, ৪ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১৯:৫৩, ৪ মার্চ ২০২১

২২ গজে ব্যাট-বল নিয়ে যাদের প্রেম তারা এতদিন ছিলেন চার দেয়ালে বন্দি। করোনাভাইরাসের কারণে কোনো সফরের গেলেই থাকতে হয় কোয়ারেন্টাইনে। একেক দেশে একেক নিয়ম। তামিম-মুশফিকরাও নিউ জিল্যান্ড সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মে কার্যত বন্দি থেকেছেন গত ৭ দিন। আইসোলেশন  কঠিন সময় পার করে ক্রিকেটাররা ফিরেছেন তাদের প্রিয় জায়গায়; প্রিয় ২২ গজে।

বৃহস্পতিবার লিংকন গ্রিন মাঠে প্রথমদিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে সবই করেছেন তামিমরা। ছোট ছোট ৭টি গ্রুপে ভাগ হয়ে ব্যাটিং-বোলিংসহ ফিটনেসও ঝালাই করেন নেন সকলে। অনুশীলনের প্রথম দিনেই অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন জানালেন, তিনি দেশে ফিরতে চান ‘কিছু’ নিয়ে।

নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের কোনো জয় নেই। এবার তিনি সেই আক্ষেপ ঘোচাতে চান। ফিরতে চান জয় নিয়ে। সেই কিছু বলতে বুঝিয়েছেন জয়কেই; সেটা আর ভেঙে বলার প্রয়োজন মনে হয় নেই।

নিউ জিল্যান্ড থেকে ভিডিও বার্তায় সাইফুদ্দিন বলেন, ‘প্রত্যাশা অবশ্যই থাকবে কারণ ওয়ানডেতে আমরা অনেক ভালো দল। আমরা সবাই যদি আমাদের ভালো খেলা খেলতে পারি, দিনটা যদি আমাদের হয় অবশ্যই ফলাফল আমাদের পক্ষে কথা বলবে। এর আগে আমাদের প্রাপ্তির খাতা একদমই শূন্য, আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সিরিজ থেকে কিছু নিয়ে যেন দেশে যেতে পারি, ইনশাআল্লাহ বাকিটা আল্লাহর হাতে।‘

আজ প্রথম দিনের অনুশীলনের শুরুটা হয় ফিল্ডিং দিয়ে। গুরুত্ব ছিল ক্যাচ প্র্যাকটিসে। কারণ নিউ জিল্যান্ডে বাতাস থাকায় বাড়তি বাধা থাকে ফিল্ডারদের জন্য। সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিতেই অনুশীলন শুরু হয় ফিল্ডিং-ক্যাচিং দিয়ে।

সাইফউদ্দিন বলেন, ‘আজকে অনুশীলনে আমরা সবার আগে ফিল্ডিং নিয়ে কাজ করেছি, শর্ট ক্যাচ এবং হাই ক্যাচ নিয়ে। কারণ এখানে আবহাওয়া এবং বাতাসের একটা ব্যাপার থাকে, এটা মানিয়ে নেওয়ার জন্য ক্যাচিং অনুশীলন করা। এরপর আমরা ছোট ছোট সেশনে ব্যাটিং এবং বোলিং করি।‘

২৪ তারিখ নিউ জিল্যান্ডে পৌঁছানোর পর থেকে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা বন্দি ছিলেন হোটেলে। গতকাল তৃতীয় কোভিড টেস্টে নেগেটিভ আসার পর প্রথম জিমের সুযোগ পেয়েছিলেন। এর আগে দিনে ৩০-৪০ মিনিটের বেশি বাইরে বেরোনোর সুযোগ পাননি। এই কয়দিন ঘরে শুয়ে বসে দিন কাটালে শরীরে ঝং ধরাটাই স্বাভাবিক। তাই সাইফউদ্দিনের কণ্ঠেও বাড়তি সতর্কতা।

‘অনুশীলনের শেষে একটু ফিটনেস করি, যেহেতু আমরা সাত দিন ফিটনেস নিয়ে খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। যার কারণে আমরা রানিং করি, ট্রেইনারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা রানিংটা করলাম। আরও যতদিন সময় পাবো, ছোট ছোট ট্রেনিং করে নিজেকে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ’-এভাবেই বলেন সাইফউদ্দিন। 

ঢাকা/রিয়াদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়