মার্করাম ঝড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সমতা
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ফিফটি করেছিলেন এইডেন মার্করাম। কিন্তু মোহাম্মদ রিজওয়ান ঝড়ে তা বিফলে যায়। দুই দিনের ব্যবধানে টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এবার তার এই ইনিংস দলকে এনে দিয়েছে সাফল্য। চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুই ম্যাচ শেষে সমতায় ফিরেছে প্রোটিয়ারা। ১৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪১ রান করে তারা।
সোমবার (১২ এপ্রিল) জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স পার্কে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এইডেন মার্করামের ঝড়ো ফিফটিতে স্বাগতিকরা জিতেছে ৬ উইকেটে, ছয় ওভার হাতে রেখে। সিরিজে দুই দলের ব্যবধান এখন ১-১। আগের ম্যাচে ৩০ বল খেলে পঞ্চাশ ছোঁন মার্করাম। এবার খেলেছেন দুই বল কম। ২৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি।
লক্ষ্যটা ছোট হলেও শুরু থেকে মারকুটে ছিলেন মার্করাম। ১৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে তার সঙ্গে ৪.৩ ওভারে ৪৪ রান এনে দিয়ে বিদায় নেন ওপেনার জান্নেমান মালান (১৫)। পরের ওভারে উইহান লুব্বে (১২) মোহাম্মদ হাসনাইনের শিকার হন। ফিফটি করার দুই বল পর আউট হন মার্করাম। উসমান কাদিরের বলে ফাহিম আশরাফের ক্যাচ হন, এর আগে ৩০ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৫৪ রান করেন তিনি।
উসমান পরের ওভারে আরও একটি উইকেটের পতন ঘটান। ৯২ রানে চার উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অধিনায়ক হেনরিখ ক্লাসেন ও জর্জ লিন্ডে। ২২ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটি গড়েন তারা। ক্লাসেন ২১ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। লিন্ডে ১০ বল খেলে ২০ রান করেছিলেন।
এর আগে শুরুতেই রিজওয়ানকে হারিয়ে ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ডাক মারেন গত ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। গোটা দলই ছিল যেন তার প্রতিচ্ছবি। মাঝে অধিনায়ক বাবর আজম ফিফটি করে কিছুটা মান রাখেন। ৯ উইকেটে ১৪০ রান করে সফরকারীরা।
দুদিন আগে ৭৪ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলা রিজওয়ান ইনিংসের প্রথম বলে লিন্ডের শিকার হন মার্করামকে ক্যাচ দিয়ে। ফখর জামানের পরিবর্তে ওপেনিংয়ে নামা শারজিল খানও প্রোটিয়া অফস্পিনারের পরের ওভারে আউট হলেন ৮ রান করে, সেই মার্করামের হাতে ধরা পড়ে।
১০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ায় মোহাম্মদ হাফিজ ও বাবরের ব্যাটে। কিন্তু শুরুর বিপর্যয় ফিরে আসে ১১তম ওভারে হাফিজের বিদায়ে। ২৩ বলে ছয়টি চারে তিনি লিন্ডের বলে মাঠ ছাড়েন ৩২ রান করে, ধরা পড়েন পেছনে থাকা ক্লাসেনের গ্লাভসে।
১৭তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন লিজাড উইলিয়ামস। এই ফাস্ট বোলার দুই ওভার মিলিয়ে ৬ বলের ব্যবধানে তিন উইকেট নেন। মাঝে ৪৭ বলে ৫০ রান করা বাবর ফিরে যান আর তিন বল খেলে। অবশ্য ফিফটি উদযাপনের পর আর রান যোগ করতে পারেননি তিনি।
লিন্ডে ও উইলিয়ামস দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন। ব্যাটে-বলে দারুণ খেলে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন লিন্ডে। সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ হবে বুধবার (১৪ এপ্রিল)।
ঢাকা/ফাহিম
আরো পড়ুন