ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

২৬০ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৫ উইকেট

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৮, ২ মে ২০২১   আপডেট: ১৮:০২, ২ মে ২০২১
২৬০ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৫ উইকেট

সংক্ষিপ্ত স্কোর: । বাংলাদেশ: দ্বিতীয় ইনিংস- ১৭৭/৫ (মেহেদি ৪*, লিটন ১৪*) ;প্রথম ইনিংস- ২৫১  শ্রীলঙ্কা: দ্বিতীয় ইনিংস- ১৯৪/৯ ডিক্লে; প্রথম ইনিংস ৪৯৩/৭ ডিক্লে.

আলোকস্বল্পতায় নির্ধারিত ওভার থেকে ৮ ওভার খেলা কম হয়েছে। বাংলাদেশ সময় ৫টা ৪৫ মিনিটে দিনের খেলার ইতি টানেন আম্পায়ার। পঞ্চম ও শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৬০ রান। শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৫ উইকেট। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৪৩৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান করে বাংলাদেশ। ১৪ রান নিয়ে লিটন ও ৪ রানে মিরাজ ক্রিজে আছেন। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন মুশফিকুর রহিম। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রমেশ মেন্ডিস।

আলোক স্বল্পতায় বন্ধ খেলা

বাংলাদেশ ইনিংসের ৪৮ ওভার শেষে আলোকস্বল্পতায় বন্ধ রয়েছে খেলা। বাংলাদেশ সময় ৫টা ১৫ মিনিটে আম্পায়ার লাইট মিটার দিয়ে পর্যবেক্ষণের পর খেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ২৬০ রানে; শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৫ উইকেট।

রিভিউতে লিটনের পর মিরাজের রক্ষা

মেন্ডিসের টার্ন করা লাফিয়ে ওঠা বল প্যাডে লেগে যায় শর্ট লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। কিন্তু মিরাজ রিভিউ নিলে দেখা যায় বল লাগেনি ব্যাটে; এবংকী মিস করে স্টাম্পও। শেষ পর্যন্ত রক্ষা পান মিরাজ।

রিভিউতে লিটনের রক্ষা

ব্যক্তিগত ১৩ রানের সময় মেন্ডিসের লাফিয়ে ওঠা বল লাগে লিটন দাসের পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্টাম্প মিস করে ওপর দিয়ে চলে যায়। এ যাত্রায় বেঁচে যান লিটন।

জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মুশফিক

মুশফিক ব্যক্তিগত ৬ রানের সময় জীবন পেয়েছিলেন; জয়বিক্রমার বলে স্লিপে ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হয়েছিলেন থিরামান্নে। এরপর আরও একবার উড়িয়ে মেরেছিলেন; তবে নো ম্যানস ল্যান্ডে হওয়াতে বেঁচে যান। তৃতীয়বার আর বাঁচতে পারেননি; ব্যক্তিগত ৪০ রানে মেন্ডিসের বলে লেগ স্লিপে ধরা পড়েন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভ্যার হাতে।

বোল্ড মুমিনুল

থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে অহেতুক কাট করতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসলেন মুমিনুল হন। শান্তর মতো বোল্ড  হয়ে ৩২ রানে ফেরেন সাজঘরে। তার আউটে আরও বিপাকে বাংলাদেশ। ৪৮ বলে ৪টি চারে ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। 

৩২৫ রানে পিছিয়ে থেকে চা বিরতিতে বাংলাদেশ

পাহাড়সম রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় সেশনে ২৬ ওভারে ১১২ রান তুলেছে। সঙ্গে হারিয়ে ফেলেছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তিনজন ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছেন থিতু হয়ে। তামিম ২৪, সাইফ ৩৪ ও শান্ত আউট হন ২৬ রানে। চা বিরতিতে যাওয়ার একটু আগে আউট হন শান্ত। তার উইকেটের পতনে বিপদে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছেন জয়বিক্রমা।

শান্ত বোল্ড

লক্ষ্য অনেক বড়। সময়ও অনেক। একটি পুরো দিন ও প্রায় দুই সেশন। এ অবস্থায় খেলতে নেমে বিপদে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার সম্ভাবনা দেখিয়ে সাজঘরে ফেরার পর খেলার হাল ধরেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মুমিনুল হক। দুজনের জুটি বেশিদূর যায়নি। ব্যক্তিগত ২৬ রানে জয়বিক্রমার বলে বোল্ড হয়ে শান্ত সাজঘরে ফিরে ভাঙে এই জুটি।

বাজে শটে শেষ সাইফের ইনিংস

মেন্ডিসের বলে রিভিউতে রক্ষা পেয়েছিলেন সাইফ হাসান।কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না। বাঁহাতি স্পিনার প্রবীন জয়বিক্রমার বলে অহেতুক শট খেলতে গিয়ে কভারে লাকমালের হাতে ধরা পড়েন। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৬ বলে ৩৪ রান। এর আগে ১৮ রানের সময় রিভিউতে জীবন পেয়েছিলেন।

রিভিউতে সাইফের রক্ষা 

১১.২ ওভারে রমেশ মেন্ডিসের বলে সুইপ করতে চেয়েছিলেন সাইফ হাসান। কিন্তু বল ব্যাট মিস করে লাগে প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার ধর্মাসেনা। ক্রিজে থাকা শান্তর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত রিভিউ নেন সাইফ। বল টার্ন করায় বেঁচে যান এই ডানহাতি ওপেনার ব্যাটসম্যান।

প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ

চলমান সিরিজে দারুণ ফর্মে ছিলেন তামিম ইকবাল। দুইবার ৯০ এর ঘরে আউট হওয়া  ছাড়া এক ইনিংসে ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন। এবার আর পারলেন না। ২৬ বলে ২৪ রান করে ভালো কিছুর সম্ভাবনা দেখিয়ে ফিরলেন দ্রুত। রমেশ মেন্ডিসের অফব্রেকের ফ্লাইট করা বল তামিমের ব্যাট ছুঁয়ে যায় উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো ডিকওয়ালার গ্লাভসে। তামিম মাত্র ২৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছয়ে করেন ২৪ রান করেন।

বাংলাদেশের সামনে ৪৩৭ রানের পাহাড়সম টার্গেট

লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরেই ৪ ওভারের মধ্যে তিনটি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তাইজুলের বলে সুরঙ্গা লাকমল আউট হলেই ১৯৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। আগের ইনিংসের ২৪২ রানসহ শ্রীলঙ্কার লিড দাঁড়ায় ৪৩৬ রানে। তাইজুল ইসলাম দ্বিতীয় ইনিংসে একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট।

বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪৩৭। এই রান তারা করে জিততে হলে বাংলাদেশকে গড়তে হবে বিশ্ব রেকর্ড। এর আগে কোনো দল এত রান তাড়া করে জেতেনি। সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। বাংলাদেশ জিতেছে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে। ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে ৩৭৭ রান তাড়া জেতার রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের।

২৪২ রানে এগিয়ে থেকে গতকাল শেষ বিকেলে খেলতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রানে দিন শেষ করে শ্রীলঙ্কা। আজ যোগ করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান। সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন দিমুথ করুণারত্নে।

তাইজুলের জোড়া আঘাত

তাসকিনের পরের ওভারেই আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। তিনি ফেরান রমেশ মেন্ডিসকে। ব্যক্তগত ৮ রানে তিনি ক্যাচ তুলে দেন তামিম ইকবালের হাতে। মেন্ডিসকে ফেরানোর পরের ওভারেই তাইজুল ফেরান লাকমলকে। মিডউইকেটে খেলতে চেয়েছিলেন লাকমল কিন্তু বল ব্যাট মিস করে সরাসরি লাগে স্টাম্পে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল নেন ৫ উইকেট।

লাঞ্চ থেকে ফিরেই তাসকিনের আঘাত

লাঞ্চ থেকে ফিরেই প্রথম ওভারে তাসকিন ফেরালেন ক্রিজে থাকা সেট ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকওয়ালাকে। শরীর লক্ষ্য করে বাউন্স দিয়েছিলেন তাসকিন; দ্রুত রান তোলার লক্ষ্যে স্কয়ার লেগে উড়িয়ে মারেন ডিকওয়ালা। ব্যক্তিগত ২৩ রানে ধরা পড়েন তাইজুলের হাতে।

বড় লিডের বোঝা নিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ

প্রথম সেশনের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এ সময় তারা হারিয়েছে ৪টি উইকেট। তবে থামেনি লঙ্কানদের রানের চাকা। ১৭ রানে দিন শুরু করে প্রথম সেশন শেষে লাঞ্চে যাওয়ার আগে আরও যোগ করেছে ১৫৫ রান। বাংলাদেশের সামনে লিড দাঁড়িয়েছে ৪১৪।

নিসানকার উইকেট নিলেন তাইজুল

পাথুম নিসানকা তাইজুলের বলে মিড অনে খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন পেসার শরিফুল ইসলামের হাতে। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ২৪ রান। চতুর্থ দিনে তাইজুলের এটি দ্বিতীয় শিকার।

শ্রীলঙ্কার লিড ৪০০

চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও থামেনি রানের গতি। ইনিংসের ২৯ ওভারে ৪০০ রানের লিড স্পর্শ করে শ্রীলঙ্কা।  এই সেশনে চারটি উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।

সাইফের পর মিরাজের আঘাত

আগ্রাসী ব্যাটিং করে করুণরত্নে ফিরে গেলেও রানের চাকা সচল রেখেছিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তাকে থামিয়ে স্বস্তি এনে দিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। পয়েন্টে পাঞ্চ করতে মিরাজের বলে প্রথম স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫২ বলে ৪১। তার ইনিংসটি সাজানো ছিলো ৪টি চার ও ১টি ছয়ে।

সাইফের অভিষেক শিকার করুণারত্নে

আগের ৩ টেস্টে খেলে মাত্র ১২ বল করেছিলেন। পাননি কোনো উইকেটের দেখা। নিজের চতুর্থ টেস্টে খেলতে নেমে পেলেন অভিষেক উইকেটের দেখা। তাও শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক করুণারত্নের উইকেট। করুণারত্নে এগিয়ে এসে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন; শর্ট লেগে ধরা পড়েন ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে। ম্যাথুজের পর করুণারত্নের ক্যাচও ধরলেন এই পরিবর্তিত ফিল্ডার।

করুণারত্নের অনন্য রেকর্ড

শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজে ৪০০ রানের বেশি করেছেন। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৪৪, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১১৮ ও দ্বিতীয় ইনিংস হাফসেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন। এই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তিনি সবার ওপরে। তার পরে আছেন তামিম ইকবাল; তার রান ২৫৬।

৫৯ বলে করুণারত্নের ৫০

আগ্রাসী ব্যাটিং করে মাত্র ৫৯ বলে দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লঙ্কান  অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। তাইজুলকে চার মেরে ক্যারিয়ারের ২৬ তম ফিফটির দেখা পান। তার ইনিংসটি সাজানো ৬টি চার ও ১টি ছয়ে। তার এমন ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকরা বড় লিডের পথে।

৩০০ টপকালো শ্রীলঙ্কার লিড

মেহেদি হাসান মিরাজের বলে মিডউইকেটে চার মেরে দলীয় লিড ৩০০ পার করেন দিমুথ করুণারত্নে। দিনের শুরু থেকেই করুণারত্নে খেলছেন হাত খুলে। বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ওভার বাউন্ডারিও। চেষ্টা করছেন দ্রুত রান তুলে লিড বড় করার। 

শুরুতেই ম্যাথুজকে ফেরালেন তাইজুল

চতুর্থ দিনের সপ্তম ওভারেই স্বস্তি এনে দেন তাইজুল ইসলাম। তার ফ্লাইট ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে শর্ট লেগে ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুজ। রাব্বী পরিবর্তিত ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নামেন। ম্যাথুজের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।

লঙ্কানদের দ্রুত অলআউটের লক্ষ্যে মাঠে বাংলাদেশ

ওয়ালটন শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দুই দিন ছিল ব্যাটসম্যানদের। যাতে ফায়দা নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন ঠিক উল্টো। ১৩ উইকেট পড়েছে এই দিনে, যাতে স্পিনারদের পকেটে গেছে ১০ উইকেট। দিন শেষে সুবিধাজনক অবস্থানে শ্রীলঙ্কা।

২৪২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামা শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনে বাংলাদেশ আঘাত করেছে ১৫ রানের মধ্যে ২ উইকেট নিয়ে। ২৫৯ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিন মাঠে নেমেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশি বোলারদের লক্ষ্য লঙ্কানদের কম রানে আটকে দেওয়া, দ্রুত অলআউট করা; যাতে লিডের বোঝা না বড় হয়। তৃতীয় দিনের মতো চতুর্থ দিনও রাজত্ব করতে পারেন স্পিনাররা। মেহেদি হাসান মিরাজ-তাইজুল ইসলামরা কী পারবেন?  

ঢাকা/রিয়াদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়