ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

এবার ভনের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাট

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ১৭ মে ২০২১  
এবার ভনের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাট

কোথাকার জল কোথায় গড়াচ্ছে! বিরাট কোহলি ও কেন উইলিয়ামসনের তুলনা করেছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। তাতে উড়ে এসে জুড়ে বসেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট। দুজনের পাল্টাপাল্টি খোঁচা এখন পৌঁছে গেছে ব্যক্তিগত লড়াইয়ে। সবশেষ মন্তব্যে ভনের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাট।

কদিন আগে ভন বলেছিলেন, উইলিয়ামসন নিউ জিল্যান্ডের না হয়ে ভারতের হলে তিনিই হতেন বিশ্বসেরা। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণেই কোহলিকে এখন সেরা মানা হয়। এমন মন্তব্যের পর বাট প্রতিক্রিয়া জানান। কোহলি ও উইলিয়ামসনের তুলনা করা ভনের জন্য অপ্রাসঙ্গিক বলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। একধাপ এগিয়ে গিয়ে ভন বাটকে মনে করিয়ে দেন ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কথা, ‘সে বলতে ভুলে গেছে যে আমি অন্তত ম্যাচ ফিক্সিং করে ক্রিকেটকে কলুষিত করিনি।’

দুর্বল জায়গায় আঘাত করায় চুপ করে বসে থাকেননি বাটও। ভনকে পাল্টা মন্তব্যে বলেন, কিছু লোকের ‘মানসিক কোষ্ঠকাঠিন্য’ রয়েছে। বাট ইউটিউভ ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমি বিস্তারিতের ভেতরে ঢুকতে চাই না। আমি শুধু বলতে চাই তিনি ভুল প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। এমন প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক না। এটা খুবই নিচু মানের। তিনি যদি অতীতে বাস করতে চান এবং এটা সম্পর্কে কথা বলতে চান, তাহলে অবশ্যই তা পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য একটা অসুখ। কোনোকিছু আটকে থাকে এবং তা সহজে বের হয়ে আসতে চায় না। কিছু লোকের মানসিক কোষ্ঠকাঠিন্য আছে। তাদের মানসিকতা পড়ে থাকে অতীতে, এতে কোনও কিছু যায় আসে না।’

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘আমরা দুজন সেরা খেলোয়াড় সম্পর্কে কথা বলছিলাম, তা ভিন্ন পথে নিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল না। কিন্তু তিনি সেই পথ বেছে নিয়েছেন। যে বছরের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, সেখানে তিনি যেতে পারেন। এটা অতীত এবং ফয়সালাও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতে তো সত্য বদলায়নি, যা নিয়ে আমরা কথা বলছিলাম। তিনি কিছু পরিসংখ্যান ও যুক্তি উপস্থাপন এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণ করতে পারতেন। সেটাই ভালো হতো, তাহলে আমরাও কিছু শিখতে পারতাম।’

ভন যে কথা বলেছেন তাতে তার মানসিক দীনতা ফুটে ওঠে মনে করেন বাট, ‘তিনি ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে পারতেন এবং আমাদের ভুল কিংবা নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে পারতেন। তাহলে মজা হতো। কিন্তু তা হয়নি। দুর্বল জায়গায় আঘাত করতে প্রত্যেকেই পারে। কিন্তু তাতে ফুটে ওঠে তার পছন্দ ও মানসিকতা কেমন সেটা। তিনি যা করেছেন, তা যতখুশি করতে পারেন। তা কারও ওপর প্রভাব ফেলবে না, কিন্তু তিনি নিজের মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।’

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়