ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ডাক্তার আমাকে বলেছে, ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যেতে: নাজমুল

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৮, ২৬ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ২০:২০, ২৬ আগস্ট ২০২১
ডাক্তার আমাকে বলেছে, ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যেতে: নাজমুল

নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বিসিবির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী অক্টোবরে। বর্তমান বোর্ড সভাপতি এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কৌশলী উত্তর দেন। তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতা এবং ক্রিকেটে প্রচুর সময় দিতে হয় বলে বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনাও আছে তার।

চার বছর পর বিসিবির এজিএম আজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান বলেন, ‘নির্বাচন করব কি না? ডাক্তারের পক্ষ থেকে আমাকে বারবার বলা হয়েছে যে, ক্রিকেট থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূরে সরে যেতে। অন্তত বোর্ডে থাকলেও এই জিনিসগুলো (ক্রিকেটারদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ) যেন না করি।’

তবে ক্রিকেটের প্রতি তার ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে নাজমুল হাসান যোগ করেন, ‘আমার একটা খারাপ দিক হলো, বাংলাদেশ হারলে আমি নিতে পারি না। বাংলাদেশ হারলে আমার মেজাজ খারাপ হয়। আমার বউ-বাচ্চারা কেউ আমার সামনে আসে না। আমার মতো আরো অনেকেই আছে, যারা হার মেনে নিতে পারে না। এতটা খারাপ লাগে!’

নির্বাচন নিয়ে তিনি যোগ করেন, ‘আমরা এজিএমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী ১ সেপ্টেম্বর বোর্ড সভায় নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা খুব দ্রুতই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবো।’

নাজমুল হাসান প্রথমবার দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০১২ সালের অক্টোবরে। বিসিবির তৎকালীন প্রধান আ হ ম মুস্তফা কামাল আইসিসির সহ-সভাপতির দায়িত্ব নিলে সরকারের মনোনয়নে দায়িত্ব পান। এরপর ২০১৩ সালের অক্টোবরে তিনি দায়িত্ব নেন বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে। ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগেই সরে দাঁড়ান নাজমুলের সম্ভাব্য বিরোধীপক্ষ সাবের হোসেন চৌধুরীর প্যানেল। নাজমুল তাই নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

২০১৭ সালেও কোনো বিরোধী পক্ষই ছিল না। যার কারণে আবারো নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এবারো তিনি নির্বাচন করলে খালি মাঠেই গোল দেবেন। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে আগ্রহ দেখাননি কেউ।  

ক্রিকেট বোর্ডে প্রচুর সময় দিতে হয় দাবি করে নাজমুল হাসানের, ‘ক্রিকেটে প্রচুর সময় দিতে হয়। আমাদের বোর্ড থেকে জালাল ভাই নিউ জিল্যান্ড গেল, ববি ভাই জিম্বাবুয়ে গেল। তারা জানেন, অবাক হয়ে যান, আমি ভোর থেকে খেলা দেখছি, তাদের ওখানে তখন ৭টা বাজে আমি তাদের ফোন দেই। ব্রেকফাস্ট টেবিলে কথা বলি। তারপর টিম নিয়ে আলোচনা করি। আসলে ক্রিকেট ইজ টেকিং টু মাচ টাইম।’

নির্বাচন নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত পরিকল্পনাও আছে বলে জানালেন নাজমুল হাসান, ‘আমাদের বোর্ড মিটিংয়ে নির্বাচন নিয়ে একটু ধারণা পাবেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এবারের নির্বাচন একটু আলাদা হবে। অন্যবারের মতো নাও হতে পারে। আশা করছি আমি যেমনটা প্রস্তাব করব তেমনটাই হবে।’

ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়