ঢাকা     বুধবার   ০১ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

লাইভে আম্পায়ার নাদিরের জন্য দোয়া চাইলেন খালেদ মাসুদ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২০, ৩১ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ২১:২৮, ৩১ আগস্ট ২০২১

দীর্ঘদিন ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়ার নাদির শাহ। হঠাৎ করে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় রোববার (২৯ আগস্ট) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে লাইভে তার জন্য দোয়া চাইলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।

ফেসবুক লাইভে খালেদ মাসুদ বলেন, ‘অনেক দিন পর আমি লাইভে এলাম। আচমকা লাইভে আসার কারণ আছে। রাজশাহীতে থাকার সময় জানতে পেরেছিলাম যে আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটার ও আম্পায়ার নাদির (শাহ) ভাই অসুস্থ, বেশ ভালোই অসুস্থ। উনি হাসপাতালে আছেন। ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে নাদির ভাইয়ের সঙ্গে আমার খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। আমাদের অনেক খেলোয়াড় খেলেছে। তার বড় পরিচয় হলো তিনি একজন সাবেক খেলোয়াড়, তার পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডও আছে, নিজের বড় ভাই বাদশাহ ভাইও অসাধারণ ক্রিকেটার ছিলেন। আমরা ছোটবেলা থেকে নাম শুনতাম, বাদশাহ ভাই, নাদির ভাই।’

খালেদ মাসুদ আরো বলেন, ‘নাদির ভাই ছিলেন অসাধারণ স্মার্ট প্লেয়ার, ভালো ব্যাটিং করতেন, ছয় মারতেন। ভালো বোলিংও করতেন। তাকে খেলোয়াড় ও বড় ভাই হিসেবে আমরা তাকে শ্রদ্ধা করতাম। মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অসাধারণ মনের। আমার মনে হয়, নাদির ভাইয়ের আম্পায়ারিংয়ে খেলেছেন তারা কেউ কোনোদিন তাকে নিয়ে কটূক্তি করেননি, সমালোচনাও নয়। কেউ ভুল করলে তাকে শুধরে দিতেন।’

রাজধানীর আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন নাদিরকেও লাইভে আনেন খালেদ মাসুদ। ৬ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকা নাদির বললেন, ‘আমার শরীর কিছুদিন ধরে খারাপ। আমি হাসপাতালে আছি। আগের থেকে ভালো আছি। আপনারা দোয়া করবেন যেন আমি ভালো হয়ে যাই। আবার যেন মাঠে এসে আম্পায়ারিং করতে পারি বা খেলা দেখি। ইনশাল্লাহ আগের থেকে ভালো আছি। শুধু আমার জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ, আল্লাহ হাফেজ।’

নাদিরের দৃঢ়তায় মুগ্ধ হয়ে খালেদ মাসুদ শেষ করেন লাইভ, ‘নাদির ভাই কী শক্তিশালী, কী প্রাণবন্ত। আমাকে এখনই তিনি বলছেন, আমরা রাতে যেখানে ফুটবল খেলি সেখানে রেফারিং করবেন। যারা তাকে চেনেন, তারা জানেন, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিয়েছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন ‘

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ